ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জিম্বাবুয়েতে খরায় ২০০ হাতির মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিরূপ আবহাওয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, দাবানলের মতো দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

এই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ে তীব্র খরায় গত সেপ্টেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত হোয়াঙ্গো ন্যাশনাল পার্কের অন্তত ২০০ হাতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

খবরে বলা হয়, তীব্র খরায় জিম্বাবুয়ের হোয়াঙ্গে ন্যাশনাল পার্কের অন্তত ২০০ হাতির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির অন্য পার্কেও খরার কারণে জিরাফ, মহিষ ও হরিণসহ অন্য অনেক প্রাণী মারা যাচ্ছে।

জিম্বাবুয়ে পার্ক ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র তানাশে ফারাও বলেন, বৃষ্টি না হলে এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়। তীব্র খরায় প্রায় সব প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক প্রজাতির পাখিরও গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।

খাবার ও পানির খোঁজে অনেক প্রাণী লোকালয়ে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাবার ও পানির খোঁজে অনেক প্রাণী লোকালয়ে চলে যায়। এ কারণে অনেক সময় দেখা যায় স্থানীয়দের আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে স্থানীয়রা পাল্টা আক্রমণ করে। এভাবে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। খরায় খাদ্যশস্যেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। জিম্বাবুয়ের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষের খাদ্য সহায়তা দরকার বলেও জানান তানাশে ফারাও।

জানা যায়, ৬০০ হাতি, দুই প্রজাতির সিংহ ও অন্য কয়েকটি প্রাণীকে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত সেভ ভ্যালি কনজারভেন্সি থেকে কমসংখ্যক প্রাণী আছে এমন পার্কে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে জিম্বাবুয়ে পার্ক ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা সংস্থার। একই সঙ্গে একদল বন্য কুকুর, ৫০টি মহিষ, ৪০টি জিরাফ এবং দুই হাজার হরিণকেও অন্য জায়গায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। জিম্বাবুয়েতে আনুমানিক ৮৫ হাজার হাতি রয়েছে যা সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বতসোয়ানা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জিম্বাবুয়ের বিপদগ্রস্ত প্রাণীগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ৪০ মিলিয়ন ডলার দরকার, কিন্তু তার মাত্র অর্ধেক জোগাড় হয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি কোনো বরাদ্দও নেই।

 
Electronic Paper