যানজটে রপ্তানিতে পেছাচ্ছে বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
বাংলাদেশের সড়কে যানজটের কারণে পণ্যের রপ্তানি মূল্য বাড়ছে। রপ্তানি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় মসৃণ পরিবহন অবকাঠামো তৈরিতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থার উত্তরণে যানজটমুক্ত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি সাশ্রয়ী যোগাযোগ মাধ্যম রেল ও জলপথের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের ‘মুভিং ফরওয়ার্ড : কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু সাসটেইন বাংলাদেশ সাকসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতায় যে দেশ যত বেশি কম দামে পণ্য দিতে পারছে, সে দেশ রপ্তানি বাজারে ততই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পণ্য পরিবহণে ‘লজিস্টিক’ সহায়তা বাড়িয়ে বিশেষ করে যানজট কমানোর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ব্যয় কমিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
টেম্বন আরও বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগী দেশগুলো রপ্তানি পণ্য পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো মসৃণ সংযোগ অবকাঠামোতে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ খাতের যানজট রপ্তানি পণ্য গন্তব্যে পৌঁছানোর খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের প্রায় সাত শতাংশ পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বর্তমান অবস্থায়ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১০ শতাংশ রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে। এ ছাড়াও বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তাই উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, কম খরচের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।
সেমিনারে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ম্যাটিয়াস হেরেরা ড্যাপে বলেন, ‘বর্তমানে কম খরচে এবং কম সময়ে রপ্তানি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা রপ্তানি সক্ষমতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। সড়ক, রেল ও জলপথ এই তিন খাতেই পণ্য পরিবহনে মসৃণ অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সড়কে পণ্য পরিবহনের সময় ও ব্যয়-দুটোই বেশি। পণ্য পরিবহনে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ব্যবস্থা হচ্ছে জলপথ। তাই সরকারকে দেশের নৌ অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’