মা আর ফিরবে না জানে না মাহিমা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে গেছে ঢাকার হোটেলে কাজ করা মাইনুদ্দিনের জীবন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার কসবায় যান মাইনুদ্দিন। স্ত্রী কাকলি আক্তারকে (২৮) খুঁজে পান লাশের সারিতে। আর সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মাহিমাকে পান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে।
মাইনুদ্দিন জানান, গত রোববার সিলেটের হজরত শাহজালাল (রা.) ও হজরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান তার স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর মাল, মামি আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম। পরদিন সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন মারা যান। মামা জাহাঙ্গীর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সকালে যখন মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন তার সঙ্গে কেউ ছিল না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, সকালে আহত রাহিমা আক্তার নামের এক বৃদ্ধা ওই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। রাহিমা চাঁদপুরের সাতিরাশির বাসিন্দা। তখন তিনি এই শিশুর নাম মাহিমা বলে জানান। রেজিস্টার্ড বইয়ে সেটিই উল্লেখ করা হয়। শিশুটির কপালের বাঁ পাশ থেকে মাথার পেছন অংশ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। কপালে সেলাই দেওয়া হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছে মাহিমা। শিশুটিকে নার্সদের কক্ষে রাখা হয়েছে। কারণ, মানুষ ভিড় করছে। শিশুটি একটু পরপর বাইরে যাওয়ার কথা বলছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ১৬ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।