ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটনায় ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ২:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২ টা ৪৮ মিনিটে কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন কমিটি গঠন বিষয়ে বলেন, রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি ও জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলের দুটি কমিটির একটিতে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। চার সদস্যের অপর কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

রেল সচিব জানান, ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটি ট্রেনের সিগন্যাল অমান্য করার যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেল সচিব বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়াতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে থাকে। অপর বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে ওই ট্রেনের ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ১৫ জনের সবাই উদয়নের যাত্রী ছিলেন।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে নয়টি লাশ রয়েছে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ রয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দুটি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত কারও পরিচয় জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

 
Electronic Paper