ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অযোধ্যা আমাদের ইস্যু নয়

কবির য়াহমদ
🕐 ১০:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৯

অয্যোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদ-মন্দির নির্মাণ নিয়ে যে বিতর্ক-উত্তেজনা চলছিল তার বিচারিক এক সমাধান এসেছে। এই সমাধানে কে খুশি আর কে অখুশি তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। তবু জানি এ আলোচনা চলবে।

রায়ে কে লাভবান আর কে ক্ষতিগ্রস্ত-সে দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে এখানে উত্তেজনা উগড়ে দেওয়া হবে। তাই আমাদের উচিত হবে না ওই পথে যাওয়ার। ভারতের একটা মসজিদ, ভারতের একটা মন্দির আমাদের জাতীয় ইস্যু নয়। এটা আমাদের কারও ধর্মীয় ইস্যুও নয়। ওখানকার ইস্যুতে উত্তেজিত হলে আমাদের পুণ্যযোগের সম্ভাবনা আছে বলেও মনে হয় না।

ওটা এই দেশের কারও কেন্দ্র নয়, উদ্দেশ্যও নয়। বাংলাদেশের কারও স্বপ্ন থাকে না বাবরি মন্দিরে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার, বাংলাদেশের কারও স্বপ্ন থাকে না রাম মন্দিরে গিয়ে পূজো দেওয়ার। এটা ওখানকার স্থানীয়দের ইস্যু। যদিও দাঙ্গা, প্রাণহানি ছোট্ট বিষয়কে বিশাল করে তুলেছে।

দেশে-দেশে নিয়মিত কত মসজিদ গড়ে, কত মন্দির গড়ে; কত মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়, কত মন্দিরের পরিণতিও হয় একই। ওসব আমরা কখনো আলোচনার টেবিলে আনি না, ওসব মাথায় নিয়ে ঘুরিও না। ওসব প্রকৃতির স্বাভাবিকতা, চিরাচরিত নিয়ম। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিও আমি ওই দৃষ্টিতে দেখতে আগ্রহী।

হয়তো বলবেন, এত যখন সাধারণ হিসাব তখন এই ফেসবুকে এটা লেখারও দরকার ছিল না। হ্যাঁ, আমিও জানি এ নিয়ে লেখার দরকার ছিল না। কিন্তু কোনো ইস্যু যখন স্বভাবধর্মের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ার পথে যায় তখন সাধারণ ভাবনাগুলো প্রকাশের দরকার পড়ে। জানানোর দরকার পড়ে উত্তেজনায় পুণ্যযোগ হয় না, বরং উত্তেজনা কারও ক্ষতির কারণ হলে সেখানে পাপযোগের শঙ্কা প্রবল।

নব্বই দশকের দাঙ্গা কমবেশি দুই হাজারের মতো মানুষকে কেড়ে নিয়েছে। ওরা আর ফিরবে না। তাদের না ফেরার সে শাশ্বত প্রমাণ মাথায় রেখে না ফেরার পথে কেউ যেন আর পা না বাড়ায়, এ চাওয়াটাই থাকল। আপনি যে ধর্মেরই বিশ্বাসী হোক না কেন আপনার বিশ্বাস আপনি সৃষ্টিকর্তা নন; যদি নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবি না করেন তবে প্রাণহরণকর্তাও আপনি নন।

কবির য়াহমদ
সাংবাদিক

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper