কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাতের আশঙ্কা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ২:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে ‘অ্যালার্ট-৩ জারি’ করেছে। ফলে বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর আগে দুপুরে বহির্নোঙরে (সাগরে) বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়।
এর ফলে কর্ণফুলী নদীর বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বহির্নোঙ্গরে (সাগরে) অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব বড় জাহাজের ইঞ্জিন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্দরের মূল জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলো আজ শনিবার বহির্নোঙ্গরে সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগেই সব কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট প্যাকিং করা হবে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে একটির ওপর কয়েকটি রাখা কনটেইনার নামিয়ে রাখা হবে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় প্রথমে অ্যালার্ট-২ জারি করেন বন্দর চেয়ারম্যান। এরপর সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৬ নম্বর সংকেত জারির পর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছে। বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোর্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেটেশন প্যান ১৯৯২ অনুযায়ী বন্দর চেয়ারম্যান নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে।