ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রবীন্দ্রনাথের অটোগ্রাফ

সৈয়দ আসাদুজ্জামান
🕐 ১:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৯

সত্যজিৎ রায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, সংগীত পরিচালক ও লেখক। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের সেরা শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের একমাত্র সন্তান। সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়ের সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে দুই পরিবারের মধ্যে খুব ভালো যোগাযোগ ছিল।

ছোট্ট সত্যজিতের বয়স তখন দশ বছর। তার শখ হয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের অটোগ্রাফ সংগ্রহ করবেন। তাই মায়ের সাথে গিয়েছেন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় অটোগ্রাফের খাতা কিনতে। খুব সুন্দর ছোট্ট একটি বেগুনি রঙের খাতা কিনলেন। তার ইচ্ছে ছোট্ট বেগুনি সে খাতার প্রথম সইটি থাকবে স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সে আশায় মাকে নিয়ে বালক সত্যজিৎ উপস্থিত হলেন উত্তরায়ণে, যেখানে সেসময় অবস্থান করছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বন্ধুর নাতিকে দেখে খুব খুশি হলেন। সত্যজিৎ রায়ের পিতা সুকুমার রায়কেও তিনি খুব স্নেহ করতেন। বালক সত্যজিৎ কবিগুরুর সাথে সাক্ষাতের পর অটোগ্রাফ নেয়ার কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলেন। তাই তার মা সুপ্রভা দেবী ছেলের হয়ে কবির কাছে আর্জি পেশ করলেন। রবীন্দ্রনাথ মুচকি হাসি হেসে অটোগ্রাফের খাতাটি নিলেন এবং সত্যজিৎকে পরের দিন খাতাটি নিয়ে যেতে বললেন। তার কথামতো পরদিন সকালে খাতা আনতে গিয়ে সত্যজিৎ আনন্দে আত্মহারা। তিনি সত্যজিৎকে অবাক করে দিয়ে অটোগ্রাফের সাথে লিখে দিলেন আট লাইনের একটি কবিতা-

সত্যজিৎ রায়ের এই অটোগ্রাফ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে আমরা বাংলা সাহিত্যের এক অসমান্য কবিতা উপহার পেয়েছিলাম। যা বাংলা সাহিত্যে একটি অমর কবিতা হয়ে আছে। সত্যজিৎ রায়ের এমন অভিনব এক দুষ্প্রাপ্য অটোগ্রাফ প্রাপ্তির ঘটনাটি তিনি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘যখন ছোট ছিলাম’-এ উল্লেখ করেছেন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper