ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আজ আঘাত হানবে বুলবুল

ধেয়ে আসছে নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ধেয়ে আসছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের যে কোনো সময় এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ইতোমধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকার সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল। বুলবুলের প্রভাবে উপকূলবর্তী সাতটি জেলা অতি ঝুঁকির মধ্যে আছে। জেলাগুলো হচ্ছে- খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। গতকাল শুক্রবার বিকালে সচিবালয়ে তিনি জরুরি সভা ডাকেন। এ সময় সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সতর্কতা সংকেত এখন ৭ রয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষজন ও তাদের গবাদিপশু যেন নিরাপদে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা/উপজেলায় এ বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

উপকূলবর্তী সব জেলা, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শনিবার (আজ) সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানতে পারে। তাই এর মোকাবেলায় সরকার এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। সাতটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জেলার সাইক্লোন শেল্টারসহ উপকূলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে দুই হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবারসহ নগদ টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ২২টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আপাতত এর গতিমুখ সুন্দরবনের দিকে। শুরুর দিকে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। শুক্রবার দুপুর থেকে এর শক্তি ক্রমেই বাড়তে থাকে। শক্তি সঞ্চার করে এটি এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়ে উন্নীত হয়েছে। এটি এখন আঘাত হানলে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইবে। যে বাতাসে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।

জানা গেছে, নভেম্বর মাসের ঘূর্ণিঝড় বেশির ভাগ সময়ই ভয়ঙ্কর হয়। ২০০৭ সালে সিডর হয়েছিল নভেম্বরের ১৫ তারিখ, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল ১২ নভেম্বর। এ ছাড়াও নভেম্বরে আরও অনেক ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ই ব্যাপাক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সাগর উত্তল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে; যাতে স্বল্প সময়ের নোটিসে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেছেন, দুপুর ১২টা থেকে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলসহ কয়েকটি রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখনো প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি হয়তো শনিবার (আজ) বা রোববার (আগামীকাল) যেকোনো সময় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে সময়টি এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘূর্ণিঝড়টির গতি-প্রকৃতি অবজারভেশনে রেখেছি। যেহেতু এটি এখনো উপকূল থেকে অনেক দূরে তাই পরবর্তীতে আমরা আরও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব। ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতের সময় এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

গতকাল আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাগরে চলাচল না করে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও তীব্র হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকের দিকে অগ্রসর হতে পারে। তীব্র ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো কিছুটা প্লাবিত হতে পারে।

উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের প্রায় সর্বত্র আজ কোথাও সকাল থেকে আবার কোথাও দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় শুক্রবার ছুটির দিনেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরি সভা করেছে। দুর্যোগ-পরবর্তী চিকিৎসাসেবার জন্য মেডিকেল টিম গঠনসহ দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে উপকূলীয় জেলা প্রশাসনগুলো।

রাস উৎসব বাতিল : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বাগেরহাটের দুবলাচরের রাস উৎসব বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দুবলারচর জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল সরদার এ কথা জানান। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ার শঙ্কায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বাবুল সরদার জানান, রোববার (আগামীকাল) থেকে সুন্দরবনের দুবলারচরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এজন্য আমরা কমিটি সদস্যরা রাস উৎসব বন্ধ ঘোষণা করেছি।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবনের পাশে ছোট্ট একটি দ্বীপ দুবলারচর। বঙ্গোপসাগরের বুকে কুঙ্গা এবং মরা পশুর নদীর মোহনায় জেগে ওঠা এ চরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে রাসমেলা। রাসমেলা মণিপুরীদের প্রধান উৎসব হলেও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন স্থানে এ উৎসব পালন করে থাকে।

‘রাসলীলা’ নামেও পরিচিত এ উৎসব কার্তিক-অগ্রহায়ণের পূর্ণিমা তিথিতে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, সুন্দবনের দুবলারচর এবং কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পালিত হয়। মেলার শেষ দিন প্রত্যুষে প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নান সমাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসবটি।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় : ঘূর্ণিঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে নিতে হয় নানা সাবধানতা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে জানালেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) পরিচালক মোহাম্মদ নূর ইসলাম খান।

তিনি জানান, স্বেচ্ছাসেবকরা এক পতাকায় ৪ নম্বর বিপদ সংকেত, দুই পতাকায় ৫, ৬, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত আর তিন পতাকায় ৮, ৯, ১০ বিপদ সংকেত দেখান।

৮ নম্বর বিপদ সংকেত এলেই সাইরেন বাজিয়ে কিংবা স্থানীয় স্কুল, মসজিদ ইত্যাদির মাইক ব্যবহার করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে। সঙ্গে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, পরিচয় পত্র, রেডিও, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, দিয়াশলাই, টর্চলাইট, মোমবাতি ইত্যাদি অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ।

শহরের জন্য সাবধানতা : এ সময় শহরের মানুষ তুলনামূলক নিরাপদ। তবে সচেতন থাকতে হবে। প্রচুর বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে, তাই সম্ভব হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয় :
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হওয়া।
* আতঙ্কিত না হয়ে টিভি অথবা এফএম রেডিওর খবর শুনুন। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই আসল কাজ।
* চার্জ দেওয়া : পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চলাইট এ চার্জ ফুল রাখুন। মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো। দুর্যোগের সময় আগুন শেষ পন্থা।
* ফার্স্ট এইড বক্স : প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়রিয়া, জ্বরের জন্য স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।
* নিরাপদ আশ্রয় : গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পানিরোধক বাক্সে টেপ এবং পলিথিন পেঁচিয়ে রাখুন। ফ্লোরে মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।
* শুকনো খাবার : পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার সংগ্রহে রাখুন।
* রেলিংয়ের ওপর ফুলের টব, কনস্ট্রাকশনের জিনিস : এ ধরনের জিনিস নিরাপদ স্থানে রাখুন।

ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে করণীয় :
* কোনোভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।
* বিল্ডিংয়ে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মেইন লাইন অফ করে দিন।
* দরজা জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।
* বাসা নিচু হলে নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন।
* ফোনে কথা না বলে এসএমএস ব্যবহার করুন।

 
Electronic Paper