ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভিসির অপসারণে অনড় জাবির আন্দোলনকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৮, ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে অনড় আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ভিসির দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্ব তাদের না। এদিকে অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জাবি ক্যাম্পাসেও এদিন প্রতিবাদী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘জাবি উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণ ও শাস্তি চাই’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও নাগরিকরা অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, ফারজানা ইসলামের দুর্নীতি প্রমাণ করা তো শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব না। এটা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। ছাত্রলীগের এই দুই নেতা যে ভিসির কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন, সেটাই বড় প্রমাণ। এর জন্য ওই দুই নেতা তাদের পদও হারিয়েছেন। জাবির অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে।’ কিন্তু অভিযোগকারী তো ছাত্রলীগের নেতারাই। যদি শাস্তি দিতে হয়, তাহলে ছাত্রলীগের নেতাদের দিতে হবে। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, দুর্নীতি তদন্ত করা হোক। কিন্তু, তা তদন্ত করা হয়নি। ভিসি যদি মনেই করেন তিনি দুর্নীতি করেননি, তাহলে তদন্ত কমিটি করতে তার অসুবিধা কোথায়। প্রধানমন্ত্রী তদন্ত কমিটি তখনই গঠন করলে আন্দোলন এই পর্যন্ত আসতো না।’

তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে কারণ ভিসিদের নিয়োগ দেয় সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একজনও নির্বাচিত ভিসি নেই। এগুলোতে সরকার যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেয়। এ জন্য তারা সরকারের কোনো কথায় প্রশ্ন তোলেন না।

এদিকে অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার জাবির পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান এবং প্রতিবাদী পটচিত্র অংকন এবং পুরো ক্যাম্পাসে প্রদর্শনীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ভিসির দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত শুক্রবার ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। আমাদের কাছে যে প্রমাণ আছে তাতে ভিসি কোনোভাবেই পদে থাকতে পারেন না।’

 
Electronic Paper