ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘বুলবুল’ শনিবার আঘাত হানতে পারে, ৪ নম্বর সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৮, ২০১৯

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। এর শক্তি ক্রমাগত বাড়ছে। আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল কিংবা দুপুরের দিকে বাংলাদেশে আঘাত আনতে পারে ‘বুলবুল’। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে অস্থিরমতি এই ঘূর্ণিবায়ু কোন উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও জানানো হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। সাগর উত্তাল থাকায় তীরে ভিড়ছে সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে এ ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। এ ঝড় স্থলভাগে আঘাত হানবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে ভারতের পূর্বাভাস বলছে, প্রবল থেকে অতিপ্রবল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামীকাল শনিবার সকাল কিংবা দুপুরের দিকে ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। প্রতিনিয়ত এর গতি বাড়ছে, আর এটার গতি বাড়তেই থাকবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছিলেন, অর্ধবৃত্তাকারে বাঁক নিয়ে বুলবুল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল ধরে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

তবে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের বুলেটিন বলছে, বর্তমান অবস্থান থেকে বক্রপথে প্রথমে উত্তর-উত্তরপশ্চিমে এবং পরে উত্তর-উত্তরপূর্বে অগ্রসর হতে পারে বুলবুল।

রোববার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এ ঘূর্ণিঝড় প্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশে।

 
Electronic Paper