ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রিয়জনকে কীভাবে বলব, ভালোবাসি!

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০

পাঠকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন শাইখ আতীক উল্লাহ

চারপাশে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি থাকলে নিশ্চিন্তে কাজ করা যায়। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় পরিবেশটা অনুকূল হলে সময়-শ্রম-মেধার অপচয় রোধ করা যায়। অহেতুক ঝামেলা বাঁধে না।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) চাইতেন সমাজে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। সবার মধ্যে মিলমিশ থাকুক। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি অটুট থাকুক। তিনি বারবার বলতেন, একজন আরেকজনকে মহান আল্লাহর জন্যে ভালোবাসতে।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘সাত প্রকারের মানুষকে আল্লাহ তা’আলা কেয়ামতের দিন ছায়া দান করবেন। দু’জন ব্যক্তি, আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসে, আল্লাহর ভালোবাসার খাতিরে দু’জনে একত্রিত হয়। আল্লাহর ভালোবাসার তাগিদেই দু’জনে বিচ্ছিন্ন হয় (বুখারী ৬২৯)।’

তিনি শুধু এটুকুতেই শেষ করেননি, তিনি সামাজিক সৌহার্দ্য ‘কার্যক্রম’ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার চমৎকার রূপরেখাও বাতলে গেছেন। প্রিয় নবীর (সা.) প্রধান একটা বৈশিষ্ট্য- তিনি ‘তত্ত্ব’ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করতেন না। তত্ত্বের প্রায়োগিক দিকটাতেও সযত্ন নজর রাখতেন। নিজেই করে দেখাতেন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন। ভাইয়ে-ভাইয়ের মাঝে কীভাবে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হবে?

কোনও ভাইকে ভালো লাগলে, তাকে জানিয়ে দেওয়া- আমি আপনাকে ভালোবাসি! (আবু দাউদ)।

লজ্জার কিছু নেই। সংকোচ কীসের। তাকে আমার ভালো লাগে। এই ভালো লাগাটা আল্লাহরই জন্য। তাহলে এটা ইবাদত। এটা সুন্নত। আবার তাকে ভালোবাসার কথা বলাও সুন্নত। সুন্নত আদায়ে পিছিয়ে থাকব কেন? জড়সড় হব কেন? পিছিয়ে থাকব কেন?

এক সাহাবি মহানবীর (সা.) দরবারে বসা ছিলেন। পাশ দিয়ে আরেক সাহাবি হেঁটে গেলেন। উপবিষ্ট সাহাবি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আমি মানুষটাকে ভালোবাসি!

-তুমি তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়েছ?
-জি না!
-যাও, তাকে (ভালোবাসা) জানিয়ে আসো!

সাহাবিটি দৌড়ে গেলেন। তার পছন্দের মানুষটিকে গিয়ে ধরলেন। হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি!

 
Electronic Paper