ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গাড়িয়াল ভাইয়ের বন্দরে...

বঙ্গসোনাহাট ব্রিজ

জাহিদুল ইসলাম
🕐 ৪:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বদিকে বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নে বঙ্গসোনাহাট ব্রিজ অবস্থিত। ১৮৮৭ সালে ইংরেজরা তাদের সৈন্য ও রশদ চলাচলের জন্য লালমনিরহাট থেকে ভুরুঙ্গামারী হয়ে ভারতের গোহাটি পর্যন্ত যে রেললাইন স্থাপন করে তারই অংশ হিসেবে বঙ্গসোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজ তৈরি করা হয়।

ব্রিজটি প্রায় ১২শ’ ফুট লম্বা। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এই ব্রিজের অংশ ভেঙে দেন। পরবর্তীকালে তা আবার মেরামত করা হয়। এই ব্রিজটি দুধকুমর নদীর ওপর নির্মিত। বর্তমানে এটি সাধারণ ব্রিজের মতোই ব্যবহার হচ্ছে।


চিলমারী নৌ-বন্দর
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে নৌ পথে পণ্য পরিবহনের জন্য একটি নৌ-প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতা থেকে গৌহাটি এবং আসামের ধুবড়ি পর্যন্ত নৌ পথ চালু ছিল।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনা ও নৌ পথের উন্নয়ন না হওয়ায় বন্দরটি অচল হয়ে পড়ে। চিলমারী বন্দরটি একসময় বিশে^ পরিচিত ছিল, ছিল বেশ নাম ডাক। এই বন্দরকে নিয়ে রচিত হয়েছে বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গান।

কিন্তু ভাঙন আর উদ্যোগের অভাবে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যায়। দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা গতিশীল করতে পুনরায় চিলমারী বন্দরটি সচল করার ঘোষণা দেয়। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলমারী সফরে এসে চিলমারীকে নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেন।

সেই মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর চিলমারীর রমনা ঘাট নামক স্থানে পন্টুন স্থাপন করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চিলমারী নদীবন্দর উদ্বোধন করেন তৎকালীন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। এছাড়া বন্দরের উন্নয়নে প্রকল্প নেওয়া হয়। এখনো নৌ-বন্দর চালুর কাজ শুরু না হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায় দ্রুত এই বন্দর চালু করতে কাজ শুরু করা হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper