ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস

অগ্নিঝুঁকিতে কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১২:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৬, ২০১৯

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের রাস্তাঘাট, বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। কোনো ধরণের নীতিমালা না মেনে এভাবে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহাণির ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোলসহ নানা দাহ্য পদার্থ। বিভিন্ন দোকানে এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রোল কিনতে পারেন। অথচ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক।

সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় অনুমোদিত পেট্রোল পাম্প রয়েছে পাঁচটি। সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল, মবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওইসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না।

জেলা শহরের গাইটাল এলাকার আবদুল কুদ্দুস বলেন, এ শহরের বিভিন্ন দোকানে দিন দিন দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে কোমল পানীয়র বোতলে ভরে দাহ্য পদার্থ পেট্রোল বিক্রি করছেন। ক্রেতা কে তা দোকানি জানেন না বলে জানান তিনি।

একজন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা দিনে দু-একটা সিলিন্ডার বিক্রি করি। এ আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই।’ লোকজনের চাহিদা থাকায় ডিলারদের কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে এসে বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।

জেলা শহরের পাঁচজন বাসিন্দা বলেন, প্রায় সব বাজারের বিভিন্ন দোকানে বোতলে ভরে পেট্রোল বিক্রি করা হয়। অনুমোদনহীন এসব দোকান দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তারা।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের নামে অনুমোদন আছে তারাই শুধু এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে পারবেন। অনুমোদন ছাড়া যারা অবৈধভাবে এসব বিক্রি করবেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 
Electronic Paper