ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রানীনগরে হাটের জমি দখল

রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৩, ২০১৯

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের জায়গা দখল করে নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ঠদের নিরব ভূমিকায় বেড়েই চলেছে জায়গা দখলের মহোৎসব। এতে একদিকে যেমন হাট-বাজারের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে হাটের জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় ইজারার ক্ষেত্রে দর কম হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ১৬ টি হাট-বাজার রয়েছে। এসব হাট-বাজারের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু চক্র অবৈধভাবে দখল করে কোথাও মাটির আবার কোথাও ইট দিয়ে ভবন নির্মাণ করেন। গত তথ্যাবধায়ক সরকারের আমলে সরকারি জায়গা উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত করা হয়।

এরপর নির্বাচিত সরকার আসলে সুবিধাবাদীরা আবারো জায়গা দখল করতে ঝুঁকে পরে। ফলে প্রতিটি হাট-বাজারের জায়গা আবারো দখল করে বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছেন।

এছাড়া আবাদপুকুর, ত্রিমোহনী, কুজাইল, বেতগাড়ী, কাটরাশইন, রাতোয়াল, পারইল, ভান্ডারগ্রাম হাটসহ বিভিন্ন হাটের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে দখলদাররা। উপজেলার হাট-বাজারের মধ্যে আবাদপুকুর হাট ও বাজার সবচাইতে বড় এবং এই হাট পশু বিক্রি এবং ধানের মোকাম হিসেবে খ্যাত। এই হাটেও দখলদাররা জায়গা দখল করে বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে।

হাটের জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় ওই হাটে আবাদুপুকর স্কুলের জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে প্রতি বছর সংশ্লিষ্ঠ ইজারাদারকে মোটা অঙ্কের টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিতে হচ্ছে।

রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর ভূমি অফিসের তহশিলদার মাহাতাব হোসেন বলেন, আবাদপুকুর হাটে বসতবাড়ি, দোকানসহ প্রায় ৩০-৪০টি বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। এসব দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ঠদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

রানীনগর উপজেলা হাট কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, হাট-বাজারের জায়গা দখল মুক্ত করতে জেলা প্রসাশক বরাবর আবেদন করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper