ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় হত্যা-ধর্ষণ বাড়ছে

১০ মাসে ১১৭টি ধর্ষণ ও ৩০ হত্যাকাণ্ড

ছোটন সাহা, ভোলা
🕐 ১:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৩, ২০১৯

ভোলায় হঠাৎ করেই হত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। গত ১০ মাসে এ পর্যন্ত ১১৭টি ধর্ষণ এবং ৩০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক হত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনায় অনেকেই এখন আতঙ্কিত। এসব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটছে শিশু ধর্ষণ। পুলিশের অভিযানে আসামি গ্রেফতার এবং আদালতে জড়িতদের শাস্তি হলেও কমছে না ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড।

জমির বিরোধসহ নানা কারণে হত্যার ঘটনা ঘটছে। জেলায় গণধর্ষণ ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। 

আইনজীবীরা বলছেন, আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার দীর্ঘজট দেখা দিয়েছে। ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ঝুলে আছে পাঁচ হাজারের মত মামলা। যার মধ্যে ধর্ষণ মামলাই অন্তত ২০০। এসব মামলার মধ্যে গত ১০ মাসে ৭৪টি মামলা বিচারধীন অবস্থায় রয়েছে। বিচারক স্বল্পতা, সাক্ষী না থাকাসহ নানা কারণে বেশীরভাগ মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না।

এছাড়াও বেশীরভাগ মামলা প্রেমগঠিত এবং মিথ্যা মামলা হওয়ার কারণে বছরের পর বছর ঝুলে আছে মামলাগুলো।

ভোলার পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত ১০ মাসে ১১৪টি ধর্ষণ এবং ২৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে পাঁচ ধর্ষণ ও তিন হত্যা, ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচ ধর্ষণ ও এক হত্যা, মার্চ মাসে ১০টি ধর্ষণ, এপ্রিল মাসে ২০ ধর্ষণ ও পাঁচ হত্যা, মে মাসে ১৭ ধর্ষণ ও এক হত্যা, জুন মাসে ১৫ ধর্ষণ ও চার হত্যা, জুলাই মাসে ১৩ ধর্ষণ ও চার হত্যা, আগস্ট মাসে সাত ধর্ষণ ও দুই হত্যা, সেপ্টেম্বর মাসে ১৪ ধর্ষণ ও দুই হত্যা এবং অক্টোবর মাসে আট ধর্ষণ এবং সাত হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এপ্রিল মাসে। এ মাসেই ২০টি ধর্ষণ এবং পাঁচটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়েছে ভোলা সদর, চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলায়। ওই সব মামলায় বেশিরভাগ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ভোলা সদর এবং মনপুরা উপজেলায়। এর মধ্যে ঈদের আগের রাতে সদরের চরসামাইয়া ইউনিয়নে এক শিশুকে ধর্ষণ করে তিনজন মিলে।

ভোলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কিরণ তালুকদার জানান, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। যা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ঝুলে আছে পাঁচ হাজার মামলা। এর মধ্যে ধর্ষণ মামলা ২০০টি। আদালতে ৭৪টি মামলা বিচারধীন রয়েছে। আমরা সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। তবে বিচারক স্বল্পতার কারণে কিছু কিছু মামলা নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে।

 
Electronic Paper