ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সহানুভূতি চায় খোকার পরিবার

নীরব দূতাবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৩, ২০১৯

বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা সাদেক হোসেন খোকা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ায় খোকা এবং তার স্ত্রী ইসমত আরার সঙ্গে নেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট। তাই মৃত্যুর পর দেশের মাটিতে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছার কথা জানালেও পাসপোর্ট না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে পরিবারটিকে। সে দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে জানানো হয়, তাদের কিছুই করার নেই। অর্থাৎ অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

ইতোমধ্যে পাসপোর্টের জন্য নিউইয়র্কের বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি দিয়েছেন সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ইসমত আরা। এ বিষয়টি নিয়ে মানবিক হওয়ার আবেদন জানালেও দূতাবাসের পক্ষ থেকে কিছু করণীয় নেই বলে জানানো হয়েছে তাদের। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল এক ভিডিও বার্তায় ইশরাক বলেন, ‘আজ মায়ের লেখা আবেদনপত্র নিয়ে দূতাবাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, পাসপোর্টের আবেদনের ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই। কিন্তু আমরা যদি ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য আবেদন করি সেক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করবেন।’

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক এই মেয়রকে। তার চিকিৎসায় হাল ছেড়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও।

জানা যায়, ২০১৭ সালে খোকা ও তার স্ত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ কনস্যুলেটে তাদের পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পাসপোর্ট নবায়নজাতীয় কোনো সদুত্তর তারা পাননি।

খোকাপুত্র ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি। সরকারের কাছে আবারও আবেদন করছি, আমাদের বিষয়টি, আমার বাবা-মায়ের বিষয়টি একটু সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখুন। আমার বাবা-মায়ের পাসপোর্ট ইস্যু করার আন্তরিক উদ্যোগ নিন।’

এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে ক্যান্সার চিকিৎসার উদ্দেশে ভ্রমণ ভিসায় সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রে যান ঢাকার সাবেক এই মেয়র। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তারা।

 
Electronic Paper