অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেফতার ২৫
রাজশাহী প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিনকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। পলিটেকনিট ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রাত ৯টার দিকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। তবে মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এরও আগে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে লাঞ্ছিত করে পলিটেকনিকের ভেতরেই পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ফরিদ উদ্দিন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে নিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, ছাত্রলীগের ছেলেদের অন্যায় দাবি না মানায় তাকে মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেয় ছাত্রলীগকর্মী কামাল হোসেন সৌরভ। সে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান গ্রুপের কর্মী।
এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা জানান, ক্যাম্পাস থেকে সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসত আমার কাছে। দাবি না মানায় তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল।
আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি। এ সময় তারা আমাকে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলি। পরে দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় কামাল হোসেন সৌরভ আমার পথ আটকে পুকুরের কাছে আসতে বলে। আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে। এক পর্যায়ে সবাই মিলে আমাকে তুলে পুকুরে ফেলে দিয়ে উল্লাস করে।
অধ্যক্ষ বলেন, পুকুরের পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। আমি সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি। সাঁতার না জানলে হয়তো আজই শেষ হয়ে যেতাম।