ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইতিহাস ঐতিহ্যের তীর্থভূমি

স্বপ্নরাজ্য এসকেএসইন

সুশান্ত ভৌমিক
🕐 ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দর্শনীয় স্থান ঘিরে অনেক পর্যটন এলাকা গড়ে উঠলেও, উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধায় তেমনটি হয়ে উঠেনি। এতে বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা, তাজহাট জমিদারবাড়ি, বর্ধনকুঠি, মহাস্থানগড়, বালাশি ঘাটসহ এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থানগুলো রয়ে গেছে উপেক্ষিত। এমন দুঃখ ঘুচাতে এসকেএস ফাউন্ডেশন গাইবান্ধা জেলায় গড়ে তুলেছে এসকেএসইন রিসোর্ট। এখানে বসে প্রকৃতিকে আপনি অনুভব করতে পারবেন নিবিড়ভাবে, আবার ঘুরেও দেখতে পারবেন আশপাশের দর্শনীয় স্থান।

চাঁদের আলোয় বাউল গানের আসর

প্রতিদিনের ভিন্ন আয়োজন বাউল গানের আসর। সন্ধ্যা গড়ালেই চাঁদের আলোয় বাউল গান করেন স্থানীয় বাউল গায়করা। বাউল গানের পাশেই চলে বারাবকিউ পার্টির আয়োজন। বড়দের বিনোদনে বাউল গান হলেও, ছোটদের জন্যও রয়েছে ব্যবস্থা। আছে বন্যপ্রাণীর ভাস্কর, দোলনা, গাছের তৈরি লুকোচুরি ঘর।

প্রকৃতির মোহিত রূপ
ঘুম থেকে উঠে জানালার দরজা খুললে খুঁজে পাবেন প্রকৃতির চির সুবজ প্রান্তর। এখানে সব সময় অন্যরকম প্রাকৃতিক আবহ বিরাজ করে। সকালে অতিথিদের ঘুম ভাঙে পাখির কলতানে। বিকালেও চলে শালিক, ময়না, ঘুঘুর কলতান। আর রিসোর্টজুড়ে শত প্রজাতির রকমারি ফুলে মোহিত করে সবাইকে। রিসোর্টের চারপাশে আছে সবুজ ধানক্ষেত। বড় বড় পুকুর রয়েছে যেখানে অতিথিরা ফ্রিতে মাছ ধরার সুযোগ পান।

ইতিহাস নিয়ে ভবন
এসকেএসইনে রয়েছে চারটি ভবন। ভবনগুলোর নাম রাখা হয়েছে ইতিহাসের সঙ্গে মিল রেখে। একটির নাম ভবানীগঞ্জ, যা গাইবান্ধার পূর্ব নাম। ব্রিটিশ নৌঘাটের নামে আছে ‘বালশী ভবন’। রাধাকুঞ্জ নামে একটি ভবন রয়েছে, কথিত আছে এই গ্রামে রাধাকৃষ্ণ একরাত্রী যাপন করেছিলেন। অন্য ভবনটির নাম রেডিও সারাবেলা, যেখানে কমিউনিটি রেডিওর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

রাত্রী যাপনে আধুনিক ব্যবস্থা
রাত্রী যাপনে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। পুরো রিসোর্টে এসি-নন এসি মিলিয়ে রয়েছে ৬৮ রুম। আলাদা করে সাতটি কটেজ রয়েছে। কটেজগুলোর নাম প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে। কোনটির নাম কাশফুল, কোনটির নাম নীলপদ্ম, কোনটির নাম আবার নীলকুঞ্জ কিংবা কামিনী, ছায়ানীড়।

জলধারায় রকমারি খাবার
জলধারায় আছে দেশি-বিদেশি খাবারের সমহার। আর এসকেএসইনে যারা রাত্রী যাপন করে সকালের নাশতাটা তাদের জন্য ফ্রি, দুপুরে আছে চাইনিজ, বাংলা, ইন্ডিয়ান খাবারের দারুণ আয়োজন। চাইলে যে কোনো অতিথি বুফেও খেতে পারেন। এসকেএসইনের ব্যবস্থাপক তাইফুর কাদের তপু খোলা কাগজকে জানান, এসকেএসইনকে সমৃদ্ধ করতে কাজ চলমান রয়েছে। তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম শালবন, আরো নতুন আটটি ফ্যামেলি কটেজ, প্রশস্ত লেক। লেকে থাকবে দুর্লভ মাছ, শালবনে থাকবে জীবন্ত হরিণ। রিসোর্টটি নিয়ে আরও তথ্য পেতে : www.sksinn.com ফোন : 01853332974

যেভাবে যাবেন
ঢাকা কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আল হামরা, শ্যামলী কিংবা হানিফ পরিবহনে চলে যেতে পারেন গাইবান্ধা। আর গাইবান্ধা শহর থেকে রিকশা, অটোরিকশা খুব সহজেই যেতে পারেন এসকেএসইনে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper