ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজারহাটে ১২৪ স্কুলের উন্নয়ন বরাদ্দ লুট

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ১২:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৯

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ১২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দের প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক বিদ্যালয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। গত অর্থ বছরের জুনমাসের মধ্যেই কাজ সমাপ্তির বাধ্যবাধকতা থাকলেও কিছু বিদ্যালয়ে এপর্যন্ত কাজই শুরু হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত অর্থ বছর উপজেলার ১২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই লাখ টাকা হিসেবে ৮০ লাখ, ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় লাখ টাকা হিসেবে ৩৩ লাখ, স্লিপ প্রকল্পে ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭০হাজার টাকা হিসেবে ১১ লাখ ৯০হাজার ও ৫০ হাজার হিসেবে ১০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫২ লাখ ৫০ হাজার, রুটিন ম্যাইন্টেনেজ প্রকল্পে ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০হাজার টাকা হিসেবে ৩৬ লাখ, প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পে ১২৩টি বিদ্যালয়ে ১০হাজার হিসেবে ১২ লাখ ৩০হাজার এবং ওয়াসব্লোক প্রকল্পে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০হাজার টাকা হিসেবে ১ লাখ ৮০হাজার ও ১০হাজার হিসেবে তিনটিতে ৩০হাজার টাকা সর্বমোট ২ কোটি ২৭ লাখ ৮০হাজার টাকার বরাদ্দ আসে।

নীতিমালা অনুযায়ী এসব প্রকল্পের কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কোন স্কুলেই কাজ শুরু হয়নি।

উপজেলার খুলিয়াতারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তছলিম উদ্দিন লিখিত অভিযোগে জানান, এ বিদ্যালয়টিতে এবারে কোন কাজ করা হয়নি। অথচ উক্ত বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ এবং প্রাপ-প্রাথমিক প্রকল্পে ২ লাখ ৬০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন কাজ না করে এবং আমাকে বাদ দিয়ে গোপনে বিল উত্তোলনের পায়তারা করছেন।

তবে খুলিয়াতারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন কাজ শুরু না হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো অভিযোগ সঠিক নয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, কোন বিদ্যালয়ে কাজ হয়নি এমন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

 
Electronic Paper