ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

তিন পুলিশের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ১২:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা নিচ্ছে নতুন মোড়। থানার তিন পুলিশের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ধর্ষিতা। পুলিশের ভয়ভীতির পাশাপাশি ধর্ষকরা বিষয়টি আপোস না করলে বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। পুলিশ সুপারের কাছে ধর্ষিতা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে, গত ২৪ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের একটি টিলার পাশে দক্ষিণভাগ গ্রামের আনিছ মিয়া ও ভবানীপুর গ্রামের শানু আমাকে ধর্ষণ করে।

আমার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। নতুবা তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতো। ওইদিন সন্ধ্যায় আমার মা-বাবা আমাকে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান।

সেখানে আমার কাছ থেকে ঘটনা জেনে অভিযোগ লেখা হয়। সেখানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি যে, আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর থানায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে এসআই খসরুল আলম বাদল, এসআই সনক কান্তি দাস, মহিলা কনস্টেবল রোজিনা আমাকে নানাভাবে ভয় দেখিয়ে বলে, ধর্ষণের কথা বললে আমারও জেল ফাঁসি হবে। গভীর রাতে আরেক অফিসার আবার আমার কাছ থেকে জবানবন্দি নেন এবং আমাকে না জানিয়ে তা রেকর্ড করেন। আমাকে এমনভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, আমি সত্য কথা তখন বলতে পারিনি।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কুলাউড়া থানা পুলিশ মূল আসামিকে ধরতে পারেনি। আসামিপক্ষ বিষয়টি শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

শেষ না করলে আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি গরিব পরিবারের সন্তান। আমার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে আমি শিক্ষক হব। আমার সব শেষ করে দিল ওই দুই লম্পট।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সরেজমিন একজন অফিসার পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 
Electronic Paper