ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নামাজ কীভাবে মুমিনকে পরিশুদ্ধ করে?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:১০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

প্রশ্নটি করেছেন আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, আম্বরখানা, সিলেট থেকে
মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট গ্রন্থ পাঠ করুন এবং যথাযথভাবে নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সুরা আনকাবুত-৪৫)।

নামাজ মুমিনের চক্ষুকে শীতল করে, তার যাবতীয় ছোট গুনাহ বা লঘু ও উপপাপকে মোচন করে দেয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি- ‘কী অভিমত তোমাদের, যদি কারও দরজার সামনেই একটি নদী থাকে এবং সেই নদীতে সে প্রত্যহ? পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি? সবাই বলল, ‘না, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।’

তিনি বললেন, ‘অনুরূপই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপমা। ওই নামাজসমূহের ফলেই সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মোচন করে দেন।’ আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন, ‘কবিরা? গুনাহ না করলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে অপর জুমার মধ্যবর্তীকালে সংঘটিত পাপসমূহের কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত)।’

হজরত আবু উসমান (রা.) বলেন, একবার একটি গাছের নিচে আমি সালমান (রা.)-এর সঙ্গে বসেছিলাম। তিনি গাছের একটি শুষ্ক ডাল ধরে হিলিয়ে দিলেন। এতে ডালের সমস্ত পাতা ঝরে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, ‘হে আবু উসমান! তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না কি যে, কেন আমি এ রূপ করলাম?’ আমি বললাম, ‘কেন করলেন?’

তিনি বললেন, ‘একদা আমিও আল্লাহর রসুলের (সা.) সঙ্গে গাছের নিচে ছিলাম। তিনি আমার সামনে অনুরূপ করলেন; গাছের একটি শুষ্ক ডাল ধরে হিলিয়ে দিলেন। এতে তার সমস্ত পাতা খসে পড়ল। অতঃপর বললেন, হে সালমান! তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করবে না কি যে, কেন আমি এরূপ করলাম?

আমি বললাম, কেন করলেন? তিনি উত্তরে বললেন, মুসলিম যখন সুন্দরভাবে অজু করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তখন তার পাপরাশি ঠিক ওইভাবেই ঝরে যায় যেভাবে এ পাতাগুলো ঝরে গেল।

 
Electronic Paper