ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফেসবুক লাইভে আসার পর নারী ব্যবসায়ীর মৃত্যু

বরিশাল প্রতিনিধি
🕐 ১২:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বরিশালের নারী ব্যবসায়ী শিরিন খানম (৩০)। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে শিরিন খানমকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিরিনের মৃত্যু হয়। মৃত শিরিন খানম বরিশাল নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের ভাড়া বাসায় থাকতেন।

বান্দ রোড স্টিমারঘাট জামে মসজিদ মার্কেটে শিরিন মেডিকেল হল নামে তার একটি ফার্মেসি রয়েছে। শিরিনের বাবার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়।

জানা গেছে, বরিশাল নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের মো. হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

শিরিন খানম গত রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টা ৪ মিনিটে ফেসবুক লাইভে ২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড কথা বলেন। এখানে তিনি তার মালিকানাধীন শিরিন মেডিকেল হল নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তাকে (শিরিন) তার দোকান থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। দোকান রক্ষায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এতে তিনি স্থানীয় কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেন।

শিরিন খানমের স্বজনেরা জানান, লাইভে আসার কিছুক্ষণ পরই তিনি নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে শিরিনের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে (শিরিন) হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিরিনের ভাই ইউসুফ মৃধা বাদী হয়ে সোমবার সকালে কোতোয়ালি থানায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ কবির বলেন, ওই দোকানের মালিক স্টিমারঘাট জামে মসজিদ কমিটি। সম্প্রতি তাকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়ার পর শিরিন আমার কাছে এসেছিলেন। তাকে আমি বলেছি, এখানে আমার কিছুই করার নেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আল মামুন জানান, মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ কবির, ওষুধ ব্যবসায়ী জনি, মারুফ, রনি, সদর রোড এলাকার কয়েস ও আলাউদ্দিন আলো রয়েছেন।

তিনি বলেন, মামলায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে শিরিন খানমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে জানিয়ে এসআই ফিরোজ বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

 
Electronic Paper