আধুনিক হচ্ছে মোংলা বন্দর
আবুল হাসান, মোংলা
🕐 ৬:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুন করতে চায় সরকার। এ জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বছরে ১২ কোটি আয় বাড়বে বলে জার্মান থেকে এরই মধ্যে অত্যাধুনিক মোবাইল হারবার ক্রেন এনে তা অপারেশনাল (কার্যক্রম চালু) করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের জেটি সম্প্রসারণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সক্ষমতা বাড়াতে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে ‘মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্প’। যার টাকার অঙ্ক হচ্ছে ছয় হাজার কোটি টাকা। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে এ বন্দরের ওপর যে চাপ বাড়বে সেজন্যই সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কমাল জানান, গত অর্থ বছরে এ বন্দরে সবমিলে ৯১২ টি জাহাজ ভিড়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টনের মত। আর কন্টেইনার আনা নেওয়া হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার টিউজ (২০ ফিট সমকক্ষ কন্টেইনার)। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি এসেছে পাথর, সার আর কয়লা পণ্য। এ ছাড়া গাড়ী, মেশিনারী ও ক্লিংকারও এসেছে দেখারমত।
বাংলাদেশ শিপিং এজন্টে এ্যাশোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বলেন, জার্মান থেকে মোংলা বন্দরে যে মোবাইল হারবার ক্রেন এনেছে তাতে তারা উপকৃত হচ্ছেন। এখন কন্টেইনার ভ্যাসেল থেকে পণ্য আনলোড করতে পারছেন তারা। কিন্তু তার সঙ্গে প্রাইম ওভার, মুভমেন্ট করার জন্য ফরক্লিব না থাকার কারণে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বিদেশ থেকে যে কন্টেইনারগুলো আসছে তা চাহিদা অনুযায়ী শিপমেন্ট করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। কন্টেইনার ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাও বাড়ানোর কথা জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা হবে আমদানি-রপ্তানির বড় কেন্দ্র। তাই এর আগেই নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে চান তারা। এ জন্য বন্দরের নাব্য ঠিক রাখতে আমরা আউটারবারে ড্রেজিং করব।
তিনি আরও বলেন, সক্ষমতা বাড়াতে শুধু ড্রেজিং করলেই হবে না, বন্দরের ভেতরের অবকাঠামো আরও উন্নত করতে হবে। বন্দরের জেটি, ক্রেন, জেটি উয়ার্ড ও রাস্তাঘাটের বেশ কিছু দূর্বলতা আছে। এগুলো ঠিক করতে বড় বড় প্রকল্পের অনুমোদ হয়ে আছে, আরও চারটি বড় প্রকল্প এ বছরের ডিসেম্বরে অনুমোদন পাবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে দুটি জেটি, গ্যান্টি ক্রেন, ইয়ার্ড, মাল্টি পারপাস গাড়ীর ইয়ার্ড, বন্দর ভবন সম্প্রসারণ, অফিসার স্টফদের জন্য বাসভবন, মাল্টি কমপ্লেক্স, শিপ ইয়ার্ড ও ফ্লাইওভারসহ বেশকিছু প্রকল্প। এসব প্রকল্প হয়ে গেলে এ বন্দরটা চার কিলোমিটার সম্প্রসারণ হবে।