ঢাকার নদী বাঁচানো বন্ধু
ব্যবসায়িক সততা থাকা জরুরি
আবু বকর সিদ্দীক
🕐 ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
কম বিনিয়োগে বেশি লাভ এবং নীতিমালা না মেনে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার অশুভ প্রতিযোগিতা ঢাকার আশপাশে রয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নানা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারণেই ঢাকার নদীগুলো দখল ও দূষণের কবলে পড়ছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এমএফএ-পরবর্তী সময়ে একটি বচসা ছিল যে আমাদের শিল্পাকারখানাগুলো বিশ^ব্যাপী প্রতিযোগিতা বহন করতে পারে না এবং হাজার হাজার কর্মচারী তাদের চাকরি হারাবেন, তবে তা হয়নি। কিন্তু তা ঘটেনি। আমাদের পোশাক শিল্পগুলো ভালো প্রতিযোগিতা করেছে এবং বিশে^র শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যখন প্রতিটি শিল্পকারখানা তাদের শিল্প প্রকল্প প্রস্তুত করে তখন ইটিপি এবং অন্যান্য কমপ্লায়েন্স ব্যয় তাদের সিবিএতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় (ব্যয় উপকার বিশ্লেষণ) এবং এর ভিত্তিতে তারা ঋণ এবং বিনিয়োগ পান। তাদের উদ্যোগটি পেশাদার এবং লাভজনক হওয়ায় তারা আনুষ্ঠানিক বিনিয়োগ পান। কিন্তু অপারেশন চলাকালীন কিছু শিল্পকারখানা ইটিপি ব্যবহার করে না এবং তাদের কিছু ব্যয় হ্রাস করার চেষ্টা করে। এটি অবৈধ এবং অনৈতিক। যদি যথাযথ জরিমানা এবং পরিবেশের আনুগত্য আরোপ করা হয় তবে অবশ্যই নদী এবং বাণিজ্য একসঙ্গে সংরক্ষণ করা সম্ভব। অতিরিক্ত লোভের কারণে এই অশুভ অভ্যাসটি বিদ্যমান।
সুতরাং শিল্পায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পাশাপাশি চলতে পারে। আমার মাঠকর্মে আমি দেখেছি, ছোট এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কারখানাগুলো কোনো কমপ্লায়েন্স নিয়মনীতি মেনে চলবে না এবং তারাই মূল দূষণকারী। জিওবি (সরকার) এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং কিছু টেকসই পরিচালনার পথ স্থাপন করতে পারে। সরকার যদি সত্যিই চায়, তবে তাদের সঠিক পথে আনা সম্ভব। নদী পুনরুদ্ধারের প্রতি আমি সত্যিই আশাবাদী।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228