আত্মসমর্পণের পথে অস্ত্র কারিগর
এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী (কক্সবাজার)
🕐 ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
নিজেদের অপকর্ম ভুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলের জলদস্যু এবং অস্ত্রের কারিগররা। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া-পেকুয়ার দেড় শতাধিক জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর। একই সঙ্গে রয়েছে উখিয়া-টেকনাফের আরও ৪৩ ইয়াবা কারবারি। প্রশাসনের একাধিক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে এসব জলদস্যু, অস্ত্র কারিগর ও ইয়াবা কারবারিরা একটি বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। আগামী নভেম্বরের শুরুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কক্সবাজার পুলিশ লাইনস মাঠে এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী-কুতুবদিয়া, চকরিয়া-পেকুয়ার উপকূলবর্তী মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে জিম্মি। অনেকে এই জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চোখ, হাত, পা হারিয়েছে। বিশেষ করে জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীসহ সমগ্র বাংলাদেশে দেশীয় অবৈধ অস্ত্রের বড় একটি অংশ সরবরাহ করে যাচ্ছে মহেশখালীর অস্ত্র কারিগররা। এসব দস্যুদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করে মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকূলের ৪৩ জলদস্যু। ইতোমধ্যে ওই ৪৩ দস্যুকে সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে বর্তমানে কারামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে এসেছেন।
এদিকে এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পণ করে ১০২ ইয়াবা কারবারি। এরপর গুঞ্জন ওঠে ইয়াবা কারবারিদের দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণের। এর সঙ্গে চলে আলোচনা। একে একে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে চলে আসে ৪৩ ইয়াবা কারবারি।
প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব ইয়াবা কারবারি ইতোপূর্বে হেফাজতে চলে এসেছে তাদেরকেই শুধু আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হবে। নতুন করে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। দায়িত্বশীল সূত্রটি আরও জানায়, নভেম্বরের শুরুতে দ্বিতীয় দফার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠনটি হতে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণ হলে মহেশখালীর তথা পুরো কক্সবাজার জেলার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে বিশ^াস স্থানীয়দের।