ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শাবিপ্রবি স্পিকার্স ক্লাব

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে

মোয়াজ্জেম আফরান
🕐 ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

বলা হয়ে থাকে একজন ভালো মানুষ হতে হলে কিছু ভালো বই পড়তে হয়, কিছু ভালো মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, কিছু ভালো জায়গায় ঘুরতে হয়, ভালো কল্পনা করতে শিখতে হয়, কিছু জ্ঞানী মানুষের সঙ্গে যুক্তি নিয়ে তর্ক করতে হয়। আর এই সব গুণাবলি যদি কোনো সংগঠনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তখন সেটি হয় একটি পরিপূর্ণ সংগঠন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য চর্চা-বিষয়ক সংগঠন ‘শাহজালাল ইউনিভার্সিটি স্পিকার্স ক্লাব’ তেমনই এক সংগঠন। যার সংস্পর্শে একজন শিক্ষার্থী হয়ে ওঠেন পরিপূর্ণ।

ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য চর্চাবিষয়ক সংগঠন বলতে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে এমনই এক সংগঠন, যাদের কাজ সারা বছরই ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ করা। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্যারিয়ার গঠনমূলক বিষয়ক নিয়ে কাজ করা এ সংগঠন সংজ্ঞাটির চিত্রই যেন বদলে দিয়েছে।

কেননা এ সংগঠনটি শুধু এসব বিষয় নিয়ে কাজ করে না। কাজ করে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে যেগুলো আপনাকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে সাহায্য করবে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি তার সদস্যদের নিয়ে দুইদিনের জন্য যাত্রা করে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, নিলাদ্রী লেক, বারিক্কা টিলা ও জাদুকাটা নদীর উদ্দেশ্য। লক্ষ্য সারাদিন ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, টিউশনি শেষে একগুয়েমি দূর করে মনটাকে সতেজ করা।

যেই ভাবা সেই কাজ। সুনামগঞ্জ পৌঁছে বিশ্রাম শেষে দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রথম দিনে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু।

নদীপথে সবার সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে টাঙ্গুয়ার হাওরে পৌঁছতে সন্ধ্যা গড়ায়। অথৈ পানি, জলাবন, নীল আকাশ, পাহাড় ও চোখজুড়ানো সবুজ অপরূপ সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে তোলে। হঠাৎ এক ওয়াচ-টাওয়ারের কাছে নৌকা ভিড়ল। সঙ্গেই সঙ্গেই হৈ-হুল্লোড় শুরু। কেউ পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি করে গোসল করে, কেউ টাওয়ারে উঠে মেঘালয়ের পর্বতমালার সৌন্দর্য অবলোকনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এর আগে অবশ্য মৃদু ঝড়ের কবলে পড়তে হয় নৌকাকে। রাত ৮টা নাগাদ নৌকা ভিড়ে টাকেরঘাটে। সেখানে কিছুক্ষণ আড্ডা, গান, কৌতুক শেষে সবাই রাতের খাবার সেরে নেয়। আকাশে মেঘ থাকায় জোছনাবিলাস আর হয়ে না উঠলেও, বৃষ্টিবিলাস মিস করতে হয়নি। সারারাত চাঁদের দেখা না পেলেও, ভারতীয় সীমান্তের ওয়াচ-লাইটগুলো জোনাকির মতো মিটিমিটি আলোয় অন্ধকার দূর করে দেয়। দ্বিতীয় দিনে সকালে নীলাদ্রির অপরূপ সৌন্দর্যে ডুব দিতে সেখানে যাত্রা। নীল রঙে রূপায়িত এই মনোরম জায়গাটি নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবে না পানির নীল প্রকৃতির মায়াবী রূপ। লেকে নৌকাভ্রমণও বৃষ্টির ছোঁয়ায় নাস্তা সেরে ফের যাত্রা সুনামগঞ্জের উদ্দেশে।

 

 
Electronic Paper