ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কোন কারণে দোয়া কবুল হয়

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

পাঠকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুফতি জিয়াউর রহমান

দোয়া কেন কবুল হয় না? অথচ মহান আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করার ওয়াদা করেছেন। আল্লাহর ওয়াদা তো ব্যতিক্রম হতে পারে না। তাহলে এত এত দোয়া করার পরও কেন দোয়া কবুল হয় না? এক ভাই অনুযোগের সুরে বলেছেন, ২ বছরেরও অধিক সময় ধরে টানা প্রতিদিন তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করছেন, কিন্তু তার দোয়া কবুল হওয়া তো দূরের কথা; যে সমস্যা সমাধানের জন্য দোয়া করছিলেন, সে সমস্যা আরো বেড়েছে।

দোয়া কবুল না হওয়ার কারণগুলো হচ্ছে-
আল্লাহর হুকুম অমান্য করা। এটা বড়ই অযৌক্তিক ব্যাপার, আমরা আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন করব আবার দোয়া কবুলের আশা করে বসে থাকব। দোয়া কবুল হতে হলে আগে আল্লাহর বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। তাকে সন্তুষ্ট করেই দোয়া কবুলের আশা পোষণ করতে হবে।

আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাসে ঘাটতি। আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে ঠিক, কিন্তু অগাধ বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। সেই ঘাটতি দূর করতে হবে। ইরশাদ হচ্ছে- ‘আর আমার বান্দারা যখন আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, আমি তো রয়েছি সন্নিকটেই। আমি বান্দার প্রার্থনা কবুল করি, যখন সে আমাকে আহ্বান করে। কাজেই তারা যেন আমার হুকুম মেনে চলে এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। যাতে তারা সঠিক পথের দিশা লাভ করতে পারে।’ (সুরা বাকারা-১৮৬)।

এই আয়াতে দুটি বিষয় লক্ষণীয়-
আল্লাহ বলেন, আমি বান্দার প্রার্থনা কবুল করি, যখন সে আমাকে আহ্বান করে।
এই আয়াতে আমরা দোয়া কবুলের দুটি শর্ত পেলাম-

প্রথম শর্ত : কাজেই তারা যেন আমার হুকুম মেনে চলে।

দ্বিতীয় শর্ত : আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে।

খাবার পবিত্র ও হালাল না হওয়া। বলতে গেলে দোয়া কবুল না হওয়ার এটি মৌলিক কারণ। খাবার যদি পবিত্র ও হালাল না হয়। হারাম ও অপবিত্র খাদ্য থেকে শরীরের রক্ত-মাংস গঠিত হয়, পোশাক-পরিচ্ছদ পরা হয়, তাহলে এমন ব্যক্তির দোয়া কবুলের দরোজা বন্ধ। পবিত্র কোরআনুল কারিমে আমলের আগে পবিত্র খাবার গ্রহণের নির্দেশ এসেছে। তাহলে বোঝা গেল, আমল কবুলের পূর্বশর্ত খাবার হালাল হওয়া। ইরশাদ হচ্ছে- ‘হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু-সামগ্রী থেকে আহার কর এবং নেক আমল কর।’ (সুরা মু’মিনুন-৫১)।

 
Electronic Paper