রাজধানীর ৮০ শতাংশ মানুষ যাতায়াত সংকটে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
রাজধানীতে যাতায়াত অসুবিধা দূর করতে মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলেও এর সুবিধা পাবেন মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ। বাকি ৮০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ পথচারী, বাস, রিকশা ও অন্যান্য মাধ্যমে চলাচলকারীরা থাকবেন সংকটে।
শনিবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। পবার কার্যালয়ে ‘যানজট নিরসনে চলমান পদক্ষেপ সমূহের কার্যকারিতা’ শীর্ষক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ যাতায়াত করেন ৫ কিলোমিটারের মধ্যে। এই স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য সাইকেলে ও হেঁটে নিরাপদে চলাচলের পরিবেশ তৈরি করা এবং অধিক দূরত্বের জন্য গণপরিবহন নিশ্চিত করা গেলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে যানজটের কারণে প্রতিদিন লাখ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট এবং জ্বালানির অপচয় হচ্ছে, বাড়ছে দূষণ। এজন্য বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া মোটরসাইকেল এখন প্রায় সাত লাখ, এটিও দুর্ঘটনা ও দূষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
এসময় বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- শহরজুড়ে পথচারী ও বাইসাইকেলের জন্য নিরাপদ, প্রবেশগম্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, বাসকে প্রাধান্য দিয়ে গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য স্টপেজে আসা-যাওয়ার সুবিধাসহ একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
প্রাইভেট কার কেন্দ্রিক অবকাঠামো যেমন উড়াল সড়ক, পার্কিং অবকাঠামো তৈরিতে নিরুৎসাহিত করা, অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হয় এমন খাতে অধিক বাজেট বরাদ্দ দেওয়া, শহরগুলোতে অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস যেমন পাঠাও, উবারের ইত্যাদির সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে যানজট বৃদ্ধি, শব্দ দূষণ এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি বিবেচনায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।