ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফেনীর হাসপাতালে এক্সরে সেবা বন্ধ

ফেনী প্রতিনিধি
🕐 ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯

ফেনীর তিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পাঁচ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন অকেজো হওয়ায় রোগীরা বাহির থেকে এক্স-রে করতে বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলার পাঁচ উপজেলায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া একটি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ও ট্রমা সেন্টারে মানুষ সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে দুইজন টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে ছাগলনাইয়া ও পরশুরামে এক্স-রে যন্ত্র সচল রাখা হয়েছে। বাকি তিন উপজেলাতে রোগীরা এক্স-রে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।

সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ থেকে ১৫ বছর এক্স-রে বিভাগ বন্ধ রয়েছে। ফুলগাজীতে এক্স-রে চালু থাকলেও জনবল না থাকায় সেবা দেওয়া যাচ্ছেনা। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সবগুলোতেই গত ডিসেম্বর মাসে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে প্রদান করা হলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় এগুলো সচল করা যাচ্ছে না।

আবার কোন উপজেলায় বিদ্যুৎ ও কক্ষ না থাকায় এসব যন্ত্র এখনো স্থাপন করা হয়নি। যার কারণে শুধুমাত্র ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাড়া বাকি উপজেলায় বাক্সবন্দি রয়েছে মূল্যবান এক্স-রে মেশিন।

ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, প্রায় তিন বছর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন দু’টি পড়ে রয়েছে। এক্স-রে টেকনোলজিস্টকেও ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রেষণে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই অবস্থা সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

এছাড়া ফেনীর ট্রমা সেন্টার ও বক্ষব্যাধী ক্লিনিকেরও এক্স-রে বিভাগ বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র টেকনোলজিস্ট শূন্যতায়। এতে একদিকে মূল্যবান সরকারি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে; অন্যদিকে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, ফেনীতে নতুন পাঁচটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনবল না থাকায় এগুলো স্থাপন ও সচল রাখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 
Electronic Paper