ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গণিতে সবাই ফেল ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
🕐 ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ডাক ছড়িয়ে রয়েছে উপজেলা জুড়ে। যে প্রতিষ্ঠানে এক সময় সন্তানদের পড়াতে আগ্রহের সঙ্গে ছুটে যেতেন গ্রামবাসী। আর এখন সেই প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন অভিভাবকরা। কারণ সদ্যসমাপ্ত পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী মডেল পরীক্ষায় সব শিক্ষার্থী ফেল করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তারা। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানসহ অন্য শিক্ষকদের অপসারণের দাবিও তুলেছেন তারা।

গত শনিবার স্কুল চত্বরে আয়োজিত মা সমাবেশে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমা খানমের কাছে তারা এ দাবি করেন।

প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯২৭ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হলেও গত তিন বছর ধরে এর খ্যাতি ধুলোয় মিশতে শুরু করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা রানী মিত্রসহ অন্য চার সহকারী শিক্ষকদের নানা অপকর্মের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে দাবি অভিভাবকদের।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণিতে ১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত মডেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা সবাই গণিতে ফেল করেছে। গণিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে তাদের প্রাপ্ত সর্বনিম্ন নম্বর ৩ এবং সর্বোচ্চ নম্বর ২৬। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির গণিত ক্লাস নেন শিক্ষক কামরুজ্জামান। সব শিক্ষার্থী মডেল টেস্টে গণিতে ফেল করার কারণ জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমি ঠিকমত ক্লাস নিই। তারপরও কেন সবাই ফেল করেছে বুঝতে পারছি না।

প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা রানী মিত্র বলেন, এবারের ন্যায় গত বছরও মডেল পরীক্ষায় কেউ পাস করতে পারেনি। কিন্তু সেন্টার পরীক্ষায় সবাই পাস করেছে। আমরা এবার ভালো করে চেষ্টা করছি। তার বিরুদ্ধে আনা অন্যসব অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন তিনি।

 
Electronic Paper