ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাকিব-তামিমে আস্থা লক্ষ্মণ-স্মিথের

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯

টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে এক প্রকার অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ভারত। বিরাট কোহলিদের সঙ্গে যেন পেরেই উঠছে না প্রতিপক্ষ দলগুলো। এই তো কদিন আগেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডেকে এনে সিরিজ হারিয়েছে ভারতীয়রা। তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে প্রোটিয়ারা এখন লড়ছে মান বাঁচাতে।

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতেছিল ভারত। তাতেই হলো নতুন বিশ্ব রেকর্ড। নিজেদের মাটিতে টানা ১১ সিরিজ জয়ের দৃষ্টান্ত নেই আর কারোরই। সর্বোচ্চ ১০ সিরিজ জয়ের নজির ছিল অস্ট্রেলিয়ার; তাও দুবার। প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে অজিদের রেকর্ড ভেঙেছেন কোহলিরা। অবস্থা এমন ভারতে এসে কোহলিদের হারাতে পারছেন না কেউই।

ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলগুলো যখন ব্যর্থ তখন ভারতের জন্য স্বপ্নের একটা দল বানিয়েছেন স্টার স্পোর্টসের দুই ধারাভাষ্যকার গ্রায়েম স্মিথ ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। দুই কিংবদন্তি ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দল দিয়েছেন সেখানে ঠাঁই হয়েছে বাংলাদেশের দুই তারকার। স্বপ্নের দলে তারা জায়গা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে।

ঘরের মাঠে গত ৩২ টেস্টের মাত্র একটিতে হেরেছে ভারত। স্টিভ ও’কিফের ১২ উইকেটের সে স্পেলের পর আরও ২ বছর পার হয়ে গেছে, ভারতকে আর হারানো যায়নি তাদের উঠানে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে রুদ্র রূপে দেখা যাচ্ছে তাদের, সেটাও প্রায় অচিন্ত্যনীয়। প্রথম দুই টেস্ট দাপট দেখিয়ে রাঁচিতেও রান পাহাড় (৪৯৭/৯ ডি.) গড়েছে তারা। এমন একপেশে ম্যাচ দেখতে কার ভালো লাগে! স্টার স্পোর্টসের দুই বিশ্লেষক হিসেবে নিজেদের সময়টা আরেকটু ভালো কাজে ব্যয় করতে চেয়েছিলেন স্মিথ ও লক্ষ্মণ। এমন এক বিশ্ব একাদশ যারা ভারতের উইকেটে ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।

এই একাদশে প্রত্যাশিতভাবেই সুযোগ মিলেছে বিশ্বের সেরা ৪ ব্যাটসম্যানের দুজনের। তাসমান প্রতিবেশী কেন উইলিয়ামসন ও স্টিভ স্মিথ দুজনই পেসবান্ধব উইকেটের পাশাপাশি স্পিন উইকেটেও স্বচ্ছন্দবোধ করেন। ২০১৭ সফরেই পুনের স্পিন স্বর্গে যেভাবে খেলেছিলেন স্মিথ, সেটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বহুদিন। উইলিয়ামসনও ভারত ও বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব উইকেটে খেলেছেন বেশ বড় কিছু ইনিংস। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন জো রুট। তাই ইংলিশ অধিনায়কের জায়গা হয়নি দলে।

তিন ও চারে না হয় উইলিয়ামসন ও স্মিথ নামবেন। কিন্তু ভারতে ইনিংস উদ্বোধন করার কঠিন দায়িত্ব নেবেন কারা? এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার ডিন এলগার ও বাংলাদেশের তামিম ইকবালকেই বেছে নিয়েছেন স্মিথ ও লক্ষণ। চলতি সিরিজে এলগার ভালোই করছেন আর বাংলাদেশের উইকেটে নিয়মিত রান করার দক্ষতাই এগিয়ে দিয়েছে তামিমকে।

এ দলের পাঁচে ব্যাট করবেন পাকিস্তানের বাবর আজম। ক্যারিয়ারে ভারতে কখনো খেলার সুযোগ না হলেও বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে ব্যাট করার দক্ষতা বাবরকে একাদশে জায়গা পাইয়ে দিয়েছে। এ দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে ছয়ে থাকবেন কুইন্টন ডিক। স্পিনে ভালো উইকেট রক্ষা করার ক্ষমতা দেখাচ্ছেন, আর ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি এই কন্ডিশনে তার দক্ষতার কথা বলছে। এরপরই এ দলের সবচেয়ে শক্তির জায়গা। দুই অলরাউন্ডার সাকিব ও বেন স্টোক্স। বিশ্বের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ২ অলরাউন্ডার। একদিকে সাকিবের বাঁ-হাতি স্পিন আটকে রাখবে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে। অন্যদিকে পেস-বাউন্স ও রিভার্স সুইং নিয়ে টানা বল করতে পারেন স্টোক্স। ব্যাট হাতেও দুজনের ডাবল সেঞ্চুরি আছে প্রতিপক্ষের মাঠে।

এ দলের বোলিং আক্রমণ সাজানো হচ্ছে প্যাট কামিন্স, জফরা আর্চার ও নাথান লায়নকে দিয়ে। গত অ্যাশেজ সিরিজ যারা দেখেছেন, তারা এই ২ পেসারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলবেন না। আর ভারতের মাটিতে বিদেশি কোনো স্পিনারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়া লায়নকে ছাড়া ভারতের বিপক্ষে স্বপ্নের একাদশ গড়াটা বোকামি।

 
Electronic Paper