ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হাইডির গল্প

মোস্তাফিজুর রহমান
🕐 ১২:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯

ইচ্ছে বন্ধুরা, তোমরা হয়তো হাইডি সিনেমাটি দেখে থাকবে। দেখে না থাকলে সিনেমার গল্পটি শোনো। হাইডি সুইজারল্যান্ডের উত্তর-পূর্বদিকে পাহাড় ঘেঁষা কোনো গ্রামের এক বাচ্চা মেয়ের গল্প। জানো, মাত্র তিন বছর বয়সে ওর বাবা-মা মারা যায়।

এখন বলো, ওই মেয়েটি এখন কার কাছে বড় হবে? ডিটা নামে ওর এক মাসি ছিল, মাসির কাছেই হাইডি বড় হয়। কিন্তু মাসি চাকরির জন্য বাড়ি থেকে দূরে (ফ্রাঙ্কফুর্ট) চলে যাওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিলেন ওকে দাদুর কাছে রেখে আসবেন। দাদু থাকেন পাহাড়ের ঢালে।

এ খবর শুনে হাইডির খুব মন খারাপ হলো। কিন্তু দুঃখ করা ছাড়া কিছুই ছিল না, বাধ্য হয়ে হাইডি দাদুর সঙ্গেই থাকতে শুরু করলো। আস্তে আস্তে সেখানকার প্রকৃতি তার ভালো লাগতে শুরু করলো। পাহাড়ের কোল থেকে রক্তিম সূর্যের আভা আর মেঘেদের সাথে তার এক প্রকার বন্ধুত্ব হয়ে যায়।

পশু পাখিদের সাথে খেলা করা, মাঝে মাঝে রাতের বেলা খড়ের গাদায় শুয়ে আকাশের ঝিলমিল তারা গোনা আর একটি ছাগল ছানা পোষার ভেতর বেশ আনন্দে তার দিন কাটতে থাকল। কয়েকদিন পর কি হলো জানো? তার নতুন আরেক বন্ধু হলো। ওর নাম পিটার। দুজন এক সাথে মনের সুখে পশু চড়ায় আর রাতে হাইডি তার দাদুর সাথে ঘরের কাজে সহায়তা করে। দাদুও এতে ভীষণ খুশি হয়ে গেলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন তার ডিটা মাসি ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ফিরে এলো। সে হাইডিকে জোর করে ফ্রাঙ্কফুর্ট নিয়ে যায় প্রতিবন্ধী ক্লারার দেখাশোনা করার জন্য।

এই পরিবেশে হাইডি কীভাবে সেখানে নতুন জীবন কাটাতে শুরু করে? জানতে ইচ্ছে হচ্ছে তাই’না বন্ধুরা। হুম জানতে হলে তোমরা সিনেমাটি দেখতে পারো। তবে এটা জেনে রাখো, ১৮৮০ সালে সুইডিশ লেখিকা ‘জোহানা স্পাইরি’র প্রকাশিত হাইডি বইটির গল্প থেকেই সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper