যুবলীগ নিয়ে রোববার গণভবনে মিটিং: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুবলীগ নিয়ে গণভবনে রোববার মিটিং ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী গণভবনে মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না। তাহলে কি কার্যত তিনি অপসারিত হয়েছেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণভবনে কাকে ডাকবেন আর কাকে ডাকবেন না সেটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এটা পার্টি অফিসে ডাকা হলে আমি বলতে পারতাম। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুবলীগকে গণভবনে ডেকেছেন। সেখান থেকে যাদের বলা হয়েছে, তারাই মিটিংয়ে যাবেন। যুবলীগকে বয়স কাঠামোতে আনা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববারের মিটিংয়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি কথায় কথায় অভিযোগ করে, নালিশ করে। এছাড়া বিএনপির আর কোন কাজ নেই। সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, তাদের একটা রোগ আছে। সেটা হলো- অভিযোগ। অভিযোগ নামক রোগ বিএনপিকে পেয়ে বসেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে কোনো নারী বা অবলা শিশুকে টার্গেট করা হয় না। কিন্তু, বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও কারবালার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ১০ বছরের অবুঝ শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসুক, এটা আমরা চাই। অভিযোগ আর নালিশের রাজনীতি বাদ দিয়ে গণরাজনীতির ধারায় ফিরে আসুক, সেটাই আশা করি।
তিনি আরো বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। কিন্তু, দায়িত্বশীল বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন সব কর্মকাণ্ডই করছে তারা। নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, এখন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। কোনো একটা ইস্যু পেলেই তারা তার মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পায়।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন- একটা পেলেই তারা ধরে বসে। আবরার হত্যাকাণ্ডে তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছিল। তাদের ইস্যু খুঁজে পাওয়ার রাজনীতিতে জনগণ সাড়া দেবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবজেক্টিভ কোনো ইস্যু নেই।
এসময় সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুর ই আলম সিদ্দিকী হকসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।