ধূসর বিবর্ণে এলো শীতের বাহন হেমন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
নতুন ঋতুর আগমনে রূপ বদলায় প্রকৃতি। শরতের পর কার্তিক-অগ্রহায়ণ মিলে হেমন্ত। হেমন্তকে বলা হয় শীতের বাহন। প্রকৃতির ম্লান, ধূসর ও অস্পষ্টতার অনুভূতি হানা দেয় চেতনলোকে। প্রকৃতিতে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। গ্রামীণ জনপদে এখন হালকা শীতের আমেজ।
জীবনানন্দ দাশের ভাষায়- লিপি কাছে রেখে ধূসর দ্বীপের কাছে আমি/নিস্তব্ধ ছিলাম ব’সে;/শিশির পড়িতেছিল ধীরে-ধীরে খ’সে;/নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি/উড়ে গেলো কুয়াশায়,-কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরো...।
গতকাল সন্ধ্যায় অস্ত যাওয়া আশ্বিনের শেষ সূর্যটার সাথে নগরের তপ্ত শ্বাসও অস্ত যাওয়ার কথা, কিন্তু জলবায়ুর যে নিত্য বদল, তাতে এ আবহাওয়া আরো কিছু দিন থাকবে। অগ্রহায়ণে ধান কাটার সাথে সাথে দশ প্রহরণ মেলতে শুরু করবে শীত। হেমন্তকে সবচেয়ে চেনা যায় ভোরের শিশিরে। খুব ভোরে একটি শীতল বাতাসে। সবুজ পাতার গায়ে জমে থাকা শিশির বিন্দু অপার্থিব দৃশ্যমালা রচনা করে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এখন থেকে যত দিন যাবে ততই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমতে থাকবে। পার্থক্য যত কমবে তত শীত আসতে থাকবে। উত্তরের হিম হিম বাতাসে শুষ্ক হয়ে আসবে শরীর। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এখন প্রকৃতি যেন আর নিয়ম মানছে না। কেমন খামখেয়ালী হয়ে উঠেছে।
বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কারের কারণে নতুন বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ১ কার্তিক, শুরু হলো ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু। আগের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২ কার্তিক। ফলে এবার একদিন পর শুরু হলো হেমন্তের।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ভাষা দিবস, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের বাংলা ও ইংরেজি তারিখের মিল রাখতে বাংলা বর্ষপঞ্জির কার্তিক মাস এবার কাগজে-কলমে শুরু হলো আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে।
বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, পুরনো নিয়মে বৈশাখ থেকে ভাদ্র- এই পাঁচ মাস গণনা করা হতো ৩১ দিনে। আশ্বিন থেকে চৈত্র- সাত মাস হতো ৩০ দিনে। তবে ইংরেজি লিপইয়ারে ফাল্গুনে মাস ৩১ দিনে হতো। এখন নতুন নিয়মে বৈশাখ থেকে আশ্বিন- প্রথম ছয় মাস ৩১ দিনে হবে। কার্তিক, অগ্রাহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র- এই ৫ মাস ৩০ দিনে হিসাব করা হবে। ফাল্গুন মাস হিসাব করা হবে ২৯ দিনে। ইংরেজি লিপইয়ারের বছর এক দিন বেড়ে ফাল্গুন হবে ৩০ দিনে।