ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফের বাঙালির নোবেল জয়

আমাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

ফের বাঙালির বিশ্বজয়ের সুসংবাদ মিলল। এবার অর্থনীতিতে নোবেল জয় করলেন ভারতের কলকাতার অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে প্রথম বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাসূচক পুরস্কার নোবেলের স্বাদ পায় বাঙালি। কবিগুরুর বিশ্বজয়ের পর পেরিয়ে গেছে ১০৭ বছর। এ সময়ের মধ্যে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল প্রবর্তিত এ পুরস্কার থেকে বাঙালিরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে আক্ষেপ করা হয়।

বাঙালির নোবেল খরা কাটে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের হাত ধরে। তারপর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন হাতিয়ারের সন্ধান দিয়ে এবার দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল জিতলেন মার্কিন-ভারতীয় নাগরিক অভিজিৎ। তার আগে শান্তিতে এ সম্মানে ভূষিত হন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পত্রিকায় প্রকাশ, রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গত সোমবার অভিজিতের সঙ্গে নোবেলজয়ী হিসাবে তার স্ত্রী ও সহযোদ্ধা এস্থার ডাফলো এবং মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারের নাম ঘোষণা করেন। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, দারিদ্র্যবিমোচনের পথ খুঁজতে উন্নয়ন অর্থনীতির গবেষণার ধরন বদলে দেওয়ায় জন্যই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এই ত্রয়ীকে। ফ্রান্সের নাগরিক এস্থার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতির নোবেল প্রাপক।

বিশ্বের দ্বিতীয় নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিনি। এবার নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণা গোটা বিশ্বকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়ার নতুন হাতিয়ারের সন্ধান দিয়েছে। মাত্র দুই দশকে তাদের গবেষণা পদ্ধতি উন্নয়ন অর্থনীতির রূপরেখা বদলে দিয়েছে। এখন অর্থনীতির গবেষণায় এটি অন্যতম পাথেয় মডেল।’ বর্তমানে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) কর্মরত রয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক।

২০১৩ সালে অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো যুগ্মভাবে ‘আবদুল লতিফ জামিল প্রভার্টি অ্যাকশন ল্যাব’ গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য। তাদের পরীক্ষামূলক গবেষণাকেই সম্মান জানিয়েছে নোবেল কমিটি।

১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন অভিজিৎ। সেই বছরই স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইনফরমেশন ইকোনমিক্স।’ অভিজিৎ বিনায়ক জাতিসংঘেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৫ পরবর্তী ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা কর্মসূচিতে জাতিসংঘের সচিবের বিশিষ্ট প্রতিনিধি প্যানেলে ছিলেন তিনি। অর্থনীতি বিষয়ে বিনায়কের লেখা চারটি বই বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

এর মধ্যে ‘পুওর ইকোনমিক্স’ বইটি গোল্ডম্যান সাচস বিজনেস বুক সম্মানে ভূষিত হয়। আমরা এ বাঙালি চিন্তানায়ককে অভিবাদন জানাই এবং প্রত্যাশা করি শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাঙালির এ নোবেল জয় অব্যাহত থাকবে এবং দারিদ্র্য জয়ের বিশ্বজয়ী তত্ত্বগুলো বাস্তবে রূপ লাভ করবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper