ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এবার এমপিও নীতিমালা সংশোধন চান শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

এবার এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ নীতিমালার ভুলক্রটি তুলে ধরতে চান। এজন্য মঙ্গলবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এমপিও নীতিমালা-২০১৮ পরিশিষ্ট ‘খ’ এ নিম্ন-মাধ্যমিক (ষষ্ঠ-৮ম) শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ জন শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘খ’ তে নিম্ন-মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল চাওয়া হয়নি। এ স্তরে কোন মানদণ্ডে এমপিও করা হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। পরিশিষ্ট ‘ক’-তে মাধ্যমিক পর্যায়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০০ জন এবং মফস্বলে ২০০ জন আবার বালিকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শহরে ২০০ জন, মফস্বলে ১০০ জন চাওয়া হয়েছে।

উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন, ২০০ জনে ৪০ জন পরীক্ষার্থী হলে ১৫০ জনে ২৬ জন হওয়ার কথা থাকলেও উভয়ক্ষেত্রে ৪০ জন চাওয়া হয়েছে। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১২০ জনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে ৪০ জন, আবার ১৫০ জনের মধ্যেও ৪০ জন চাওয়া হয়েছে। স্নাতক পর্যায়েও এমন জটিলতা তৈরি করা হয়েছে।

তারা বলেন, ভুলে ভরা ও নানা অসংগতিপূর্ণ এমপিওভুক্তির (বেতনের সরকারি অংশ) নীতিমালা অনুসরণ করে এমপিও তালিকা প্রকাশ হলে দেশের বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার ব্যাপক জনসমালোচনার মুখে পড়বে, জন-অসন্তোষ তৈরি হবে।

এ নীতিমালা বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রকাশিত এমপিওপ্রাপ্ত থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহামুন্নবী ডলার বলেন, ননএমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা ২২ বারের মতো এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হন।

 
Electronic Paper