মার্কস মেডিকেল কলেজ
দক্ষ চিকিৎসক হতে হলে...
বশির আহমেদ
🕐 ১:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে। এর মধ্যে মার্কস মেডিকেল কলেজ (এমআরএমসি) অন্যতম। মার্কস মেডিকেল কলেজ মার্কস গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে দক্ষ চিকিৎসক তৈরির প্রত্যাশায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বছর ৯ম ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। যারা গত ১১ অক্টোবর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হবে তারাই ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। ২০১১-১২ সেশনে প্রথম ব্যাচের ভর্তির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।
অবস্থান : রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১৪-তে এ/৩ প্রধান সড়কের পাশে এ কলেজটি অবস্থিত। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের সফল চিকিৎসক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব প্রয়াত ব্রি. জে. (অব.) অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমান (এমআর) খান এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দেশের প্রথম ইএনটি ও হেড-নেক মাইক্রো সার্জন হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি এ কলেজটির কার্যক্রম শুরু করেন। অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মে. জে. (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন। উপাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. ইকবাল মাসুদ খান এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন দি মার্কস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারিক মাসুদ খান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিবিএ ও এমবিএ-তে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত।
শ্রেণীকক্ষ ও পাঠদান পদ্ধতি : এখানে রয়েছে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ, লেকচার গ্যালারি, কম্পিউটার ও পরীক্ষাগার কক্ষ। শিক্ষকবৃন্দ নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের পাঠদান করান। ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে হয়। বিষয়ভিত্তিক পাঠদান শেষে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক, মাসিক ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজের একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, তাই কোনো শিক্ষার্থী পাস না করে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ নেই, পড়াশোনা করেই তাদের পাস করতে হয়।
গ্রন্থাগার ও কম্পিউটার ল্যাব : এ কলেজে রয়েছে বিশাল সংগ্রহসহ কেন্দ্রীয় আধুনিক গ্রন্থাগার। প্রতি বছর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় গ্রন্থ সরবরাহ করা হয়। গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত অভিধান, সহায়ক গ্রন্থ, পাঠ্যবই, স্বাস্থ্য-বিষয়ক জার্নাল, ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য অধ্যয়নের সুব্যবস্থা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ গ্রন্থাগারে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনও মেটানো হয়।
আবাসিক সুবিধা : শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য ১২০-এর অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পৃথক হোস্টেলের সুব্যবস্থা রয়েছে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা তাদের দেখাশোনা করেন। হোস্টেলে তাদের স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী, বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে থাকে। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য রয়েছে শিক্ষক লাউঞ্জ এবং ছাত্রদের জন্য স্ন্যাকস্ সপ ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা।
সার্বিক কর্মকা- সম্পর্কে তারিক মাসুদ খান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য করণীয় সবকিছু করছি। তাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্স, ৫ শতাংশ ফ্রি-কোটা, উপজাতীয় কোটাসহ সব কোটা পূরণ করে থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারি নিয়মানুযায়ী বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করি এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে থাকি।’ যোগাযোগ : এ/৩, মেইন রোড, মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬, ফোন: ৯৮৩৪০৩১, ৯৮৩৪০৩৪।