অভিজ্ঞতাকে উপজীব্য করেছেন পিটার
রোমেন রায়হান
🕐 ৩:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯
নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য এবার নাম ঘোষণা করা হয়েছে দুইজনের। না, যৌথভাবে নয়, একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে দুই বছরের বিজয়ীর নাম। দুই বছর বলতে গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সাহিত্যের নোবেল প্রাইজটিও এ বছরই দেওয়া হলো। ’১৮ সালের জন্য নোবেল পেয়েছেন পোলিশ সাহিত্যিক ওলগা টোকারচুক। আর এ বছরের জন্য (২০১৯) দেওয়া হলো পিটার হ্যান্ডকে’কে।
পিটার হ্যান্ডকে সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মানুষের অভিজ্ঞতাকে সুনির্দিষ্টকরণ এবং তার চতুর্সীমাকে ভাষাশৈলীর মাধ্যমে প্রকাশ করার মতো প্রভাবশালী কাজের জন্য’ তাকে এবারের নোবেল দেওয়া হয়েছে। পিটার হ্যান্ডকে’র জন্ম অষ্ট্রিয়াতে। ১৯৭১ সালে হ্যান্ডকে’র মা আত্মহত্যা করেন। মায়ের জীবনকে উপজীব্য করে তিনি লিখেছিলেন ‘অ্যা সরো বিয়ন্ড ড্রিমস’।
পোলিশ সাহিত্যিক ওলগা টোকারচুক সম্পর্কে বলা হয়েছে, তার সাহিত্য হচ্ছে, ‘কল্পনার আখ্যান যেটি সর্বব্যাপী আবেগ নিয়ে জীবনের অবয়বের সীমা অতিক্রমকে প্রতিনিধিত্ব করে।’
ওলগার জন্ম ১৯৬২ সালে পোল্যান্ডের সুলেশ’তে। বর্তমানে তিনি বাস করছেন রাজধানী ওয়ার্শতে। তার বাবা-মা দুজনই ছিলেন শিক্ষক। ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্শ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি সাহিত্যে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে তার লেখা ‘দ্য জার্নি অব দ্য বুক পিপল’ উপন্যাসটি আলোচনায় আসে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্য ক্যাটারিনা ফ্রস্টেনসনের স্বামী জাঁ-ক্লোদ আর্নোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ফ্রস্টেনসন সুইডেনের সাংস্কৃতিক মহলে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি ও তার ফরাসি স্বামী আর্নো যে সাংস্কৃতিক চক্রটি চালিয়ে থাকেন, তা অ্যাকাডেমির কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পায়।
আর্নোর বিরুদ্ধে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ফাঁস করারও অভিযোগ ওঠে। এর জের ধরে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট সুইডিশ অ্যাকাডেমির একাধিক সদস্য পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে নোবেল কমিটি ‘জনগণের আস্থাহীন’ হয়ে পড়েছে বলে নোবেল কমিটি গত বছরের নোবেল প্রদান স্থগিত রাখে।