‘মানসিক রোগীদের সুযোগের সমতা বিধানে সরকার বন্ধপরিকর’
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে সরকার বন্ধপরিকর। এজন্য ২০১৩ সালে প্রতিবন্থী অধিকার ও সুরক্ষা আইন সংশোধন করেছে এবং ২০১৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিরডাপ মিলনায়তনে 'মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বদলাচ্ছে সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবনধারা, আর সেই সাথে বাড়ছে মানসিক জটিলতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা হিসাবে গণ্য করার আহবান জানিয়েছেন। বর্তমান সরকার মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
ইন্দিরা বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আত্মহত্যা রোধ করা সম্ভব। এজন্য আত্মহত্যার ওপর গবেষণা বিষয়ে জোর দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ ও সমাধানের প্রয়োজন। কারণ অনুসন্ধান করা হলে তা রোধ করতে কৌশলগত পরিকল্না গ্রহণ করা সম্ভব।
সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মতো এবারেও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন করছে।
সেমিনারের সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার বলেন, কোন দেশের জনগোষ্ঠী কতটা সক্রিয় ও উৎপাদনশীল হবে তা নির্ভর করে তাদের শারীরিক, মানসিক এবং পারিপাশ্বিক অবস্থার সুষ্ঠু সমন্বয়ের উপর। বর্তমান সরকার আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আসছে।
সেমিনারের মূল আলোচক ঢাকা বিশাববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন মানসিক স্বাস্থ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিদ্যমান ব্যবস্থা তুলে ধরেন।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ড. আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ইস্টান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন ।