ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জেএসসি

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

সুধীর বরণ মাঝি
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯

উদ্দীপক : পিয়াল টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে বাংলায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার দেখে বিস্মিত হয়। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হওয়ার কার্যক্রম চলছে।
একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাভাষাকে এই মর্যদা দানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তার স্কুলে এই সংস্থার সহযোগিতায় একটি বিজ্ঞান গবেষণাগার স্থাপিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি একটি ইন্টারনেট ক্লাবও গঠন করা হয়েছে।

ক) UNDP-র প্রধান কাজ কী?
খ) বিশ্ব খাদ্য সংস্থা কেন গঠন করা হয়?
গ) পিয়ালের বিদ্যালয়ে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ) পিয়ালের বিদ্যালয়ের কার্যাবলির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে উক্ত সংস্থার ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
ক) উত্তর : বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করা UNDP-র প্রধান কাজ।
খ) উত্তর : বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১৯৪৫ সালে গঠিত হয়। ১৮৭টি দেশের সদস্য।
রোমে এর সদর দফতর। ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্যবিশ্ব খাদ্য সংস্থা গঠন করা হয়। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সারা বিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছে।
গ) উত্তর : পিয়ালের বিদ্যালয়ে যে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা রয়েছে তা হলো ইউনেস্কো। ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা।
এর পুরো নাম ‘দি ইউনাইটেড নেশন্স এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন’ অর্থাৎ জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা।
১৯৪৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দফতর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত। ইউনেস্কোর প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য রাষ্ট্র ১৮৯টি। পিয়ালের স্কুলে একটি বিজ্ঞান গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা এবং একটি ইন্টারনেট ক্লাব গঠন ইউনেস্কোর শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ এই সংস্থার কাজের অন্তর্ভুক্ত।
এ কারণে বলা যায়, ইউনেস্কোর সহযোগিতায় পিয়ালের স্কুলে উক্ত কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে।
ঘ) উত্তর : পিয়ালের বিদ্যালয়ের কার্যাবলির প্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর ইউনেস্কোতে যোগ দেয়। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো কমিশন গঠন করে।
ইউনেস্কো বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিশেষ করে বয়স্কদের শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগেই আমাদের ভাষা শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনা যেমন- বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও নওগাঁর পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধবিহার ইত্যাদি সংরক্ষণেও সংস্থাটি সহায়তা করছে।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে ইউনেস্কো কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক
হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় চাঁদপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper