মোটরসাইকেল ডায়েরিজ
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯
বিশ্বরেকর্ডধারী এক তরুণ ডাক্তার, এমবিবিএস পরীক্ষায় সবচেয়ে কম সময়ে, বেশি পরীক্ষা দিয়ে, ভালো ফলাফলের কৃতিত্ব তার দখলে, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সেই কীর্তি আজও অম্লান। কিন্তু অতি মেধাবী তরুণ সিদ্ধান্ত নিলেন পেশাগতভাবে ডাক্তার হবেন না, সংগ্রাম করবেন আমৃত্যু মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রামে-দেশ, কাল, সীমানার, আঙ্গিক ছাড়িয়ে। সারা বিশ্বে তিনি এক নামে পরিচিত চে। এই চে হওয়ার পথে আর্নেস্তোর যে অভিজ্ঞতাটি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে, সেই মোটরসাইকেল যাত্রা নিয়ে নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি।
১৯৫২ সালের ৪ জানুরারি বাক্সপেটরা গুছিয়ে কোনোমতে মোটরসাইকেলে বেঁধেছেদে আর্নেস্তো পরিবারের সবাইকে অশ্রুসজল বিদায় দিয়ে তরুণ গেভারার যাত্রা শুরু হয়। শহুরে জীবন ছেড়ে আদিগন্ত বিস্তৃত অবারিত পাম্পাসের উদ্দেশে। এই ভ্রমণ চে’র পরবর্তী বিপ্লবী জীবনের বীজ রোপণ করে দেয় তার মধ্যে।
তখনো চে হয়ে ওঠেনি তিনি, শুধুই মেডিকেল ছাত্র আর্নেন্তো গেভারা। ২৩ বছর বয়সী চে আর তার ২৯ বছর বয়সী বন্ধু বায়োকেমিস্ট আলবার্তো গ্রানাদো একদিন তাদের লক্কড়ঝক্কড় মোটরসাইকেলটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে লাতিন আমেরিকা ভ্রমণে। নিছক আনন্দের জন্য যে ভ্রমণ শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা আর শুধু নিছক আনন্দ ভ্রমণ থাকেনি; তা হয়ে যায় পৃথিবীর পাঠশালার মতো একটি বিরাট বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন। ভ্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে দুজন বিভিন্ন পরিস্থিতির স্বীকার হন, প্রত্যক্ষ করেন সাধারণ মানুষের দুঃখ- কষ্ট। আদতে এই ভ্রমণই চেকে তার পরবর্তী জীবনের কর্ম এবং কর্মপদ্ধতির সূতিগার হিসেবে কাজ করে এবং বদলে দেয় তার দৃষ্টিভঙ্গি।
সিনেমায় চের ভূমিকায় অভিনয় করেন- গার্সিয়া বার্নাল, গ্রানাদোর ভূমিকায় রদ্রিগো ডি লা সেরনা, চিচিনার ভূমিকায় মিয়া মায়েস্ত্রো, সেলিয়া ডি লা সেরনা ভূমিকায় মার্সেদেস মোরান এবং আর্নেস্তো গেভারা লিনচের ভূমিকায় ছিলেন জিন পিয়েরে নোহের। এই অনবদ্য ছবিটির
পরিচালক হলেন ওয়াল্টার সেলেস।