ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক

বাংলাদেশের টানা অবনমন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯

প্রতিযোগিতার সক্ষমতার বৈশ্বিক সূচকে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন ঘটেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল কমপেটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৯ বলছে, এবার ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১০৫তম অবস্থানে। আগের বছর ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৩তম অবস্থানে ছিল। তার আগে ২০১৭ সালে ১৩৫ দেশের মধ্যে ছিল ১০২তম অবস্থানে।

গতকাল বুধবার চলতি বছরের শুরুতে চালানো জরিপের ভিত্তিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বিশ্বব্যাপী একযোগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ফোরামের পক্ষে বাংলাদেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্য বাজার, শ্রম বাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা, উদ্ভাবনী সক্ষমতা- এই ১২টি মানদণ্ড ব্যবহার করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১০০ ভিত্তিক সূচকে সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫২, যা গত বছরের স্কোরের চেয়ে ০.১ কম।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে, সূচকের মানদণ্ড গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য, দক্ষতায় বাংলাদেশের উন্নতি হলেও প্রতিষ্ঠান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও পণ্য বাজার পরিস্থিতিতে স্কোর কমেছে। অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, শ্রম বাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতায় এবার স্কোর হয়েছে গতবারের সমান।

বিশ্বে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার দিক দিয়ে এবারের সূচকের শীর্ষে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর; এশিয়ার এই দেশটির স্কোর ৮৪ দশমিক ৮। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, জাপান, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্ক। এই দশটি দেশই গতবারের সূচকে শীর্ষ দশে ছিল, এবার শুধু অবস্থানের হেরফের হয়েছে। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত।

৬১.৪ স্কোর নিয়ে ভারত আছে সূচকের ৬৮ নম্বরে। তবে গতবারের চেয়ে ১০ ধাপ অবনমন ঘটেছে দেশটির। শ্রীলঙ্কা ৫৭.১ স্কোর নিয়ে সূচকের ৮৪তম, নেপাল ৫১.৬ স্কোর নিয়ে সূচকের ১০৮তম এবং ৫১.৪ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান সূচকের ১১০ নম্বরে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০০১ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সিপিডি বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই ফোরামের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

 
Electronic Paper