নোবেল পরিবার
হেনরি ব্র্যাগ ও লরেন্স ব্র্যাগ
পিতা-পুত্র
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
জার্মানির বিজ্ঞানী উলহেলম রন্টজেন ‘এক্স-রে’ নামক বিস্ময়কর কিছু একটা আবিষ্কার করেন, যা সাড়া ফেলে সমগ্র বিশ্বে। ১৮৯৫ সালের ওই সময় এক্স-রে নিয়ে গবেষণারত ছিলেন আরও অনেকেই। এ খবর দ্রুতই পৌঁছে যায় জার্মানি থেকে ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার শহর অ্যাডিলেডে বসবাসকারী এক অখ্যাত পদার্থবিদ উইলিয়াম হেনরি ব্র্যাগের কানেও। আর এটাই ছিল তার বিখ্যাত হওয়ার সিঁড়ি। তিনি রঞ্জনরশ্মির প্রতি এত বেশি আকর্ষণ অনুভব করেন যে নিজ বাড়িতেই এক্স-রে যন্ত্রপাতি বসিয়ে নিলেন। তারপর শুরু করলেন গবেষণা।
কিন্তু কিছুদিন পর দেখা গেল তার ছয় বছর বয়সী ছেলে লরেন্স ব্র্যাগের কৌতূহল তার চেয়েও বেশি।
এক্স-রে কক্ষে লরেন্সের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন হেনরি। কিন্তু লরেন্সেরও যে এক্স-রের বিষয় গভীর আগ্রহ। তাকে ফেরাবে কীভাবে? সেখানে প্রবেশ করা চাই তার।
তিনি বাবার মুখে শুনেছিলেন যে, এক্স-রে এমন এক অদ্ভুত ব্যাপার যা দ্বারা মানবদেহের ভেতরকার ছবিও তোলা সম্ভবপর হতে পারে। শুধু সে কক্ষে প্রবেশ করতেই শিশু লরেন্স একদিন ইচ্ছা করে সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে নিজের পা ভাঙল, যেন তাকে এক্স-রে কক্ষে নিয়ে তার পা পরীক্ষা করা হয়! এ ঘটনার ১৯ বছর পর, এক্স-রে নিয়ে গবেষণা করেই নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন সেদিনের কৌতূহলী শিশু লরেন্স ব্র্যাগ।
লরেন্স ব্র্যাগ তার সূত্রের জন্য ১৯১৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জেতেন। তবে পুরস্কারটা তিনি একা জেতেননি। বস্তুর থ্রিডি গঠন নির্ণয়ে কাজ করার জন্য ছেলের সঙ্গে নোবেল ভাগ করে নেন হেনরিও!
বাবা ছেলের একত্রে নোবেল পুরস্কার জয়ের মাঝে একটি অনন্য রেকর্ড করেন লরেন্স। ২৫ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার জিতে, সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নোবেল জয়ের রেকর্ড করেন তিনি। ২০১৪ সালে মালালা ইউসুফ শান্তিতে নোবেল জিতে এই রেকর্ড ভাঙেন।
তবে লরেন্স এখনো বিজ্ঞানে নোবেল জয়ীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।