ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অনাহারিকে অন্ন দানের ফজিলত কী?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২১

মানুষের কল্যাণসংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দান করা। ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দানের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে মহান আল্লাহ ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দানের আদেশ দিয়েছেন এবং উৎসাহিত করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অথবা ক্ষুধার দিনে অন্ন দান করা এতিম নিকটাত্মীয়কে। অথবা ভূলুণ্ঠিত অভাবগ্রস্তকে।’ (বালাদ ৯০/১৪-১৬)।

অন্যত্র আল্লাহপাক বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার টানে খাদ্য দান করে অভাবি, এতিম ও কয়েদিদের।’ (জাহর ৭৬/৮)। তাই আমরা ক্ষুধার্ত দরিদ্র ব্যক্তিকে খাদ্য দানের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী বান্দা হিসেবে গণ্য হতে পারি।

এ ছাড়া বান্দার সঙ্গে সম্পৃক্ত ইবাদতকে হাক্কুল ইবাদ বলে। হাক্কুল ইবাদের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার দান করা। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একদা এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহর (সা.) কাছে জানতে চাইলেন, ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ? নবী করিম (সা.) বললেন, ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার খাওয়ানো।’

 
Electronic Paper