ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ডের পথে দেশ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৫, ২০১৯

চা উৎপাদনে নতুন রেকডের্র পথে বাংলাদেশ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে চা বাগান। ফলে এবারও দেশে চা উৎপাদনে বড় রেকর্ড হতে চলেছে। প্রথম ও দ্বিতীয়র পর এবার তৃতীয় রেকর্ডের দিকে অগ্রসর হচ্ছে দেশের চা উৎপাদন।

বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালে দেশে চা উৎপাদন হয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। যা দেশের চা উৎপাদনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি। এর আগে ২০১৬ সালে ১৬২ বছরের ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে দেশে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছিল ৮৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন কেজি।

এ প্রসঙ্গে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর মো. আল মুস্তাইদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চায়ের উৎপাদন ছিল ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল ৯০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন কেজি। বাকি চা অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছিল। এ বছর চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন কেজি।

আশা করা হচ্ছে এ বছর চায়ের গড় উৎপাদন ৯০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত সারাদেশে চায়ের উৎপাদন ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা থেকে অতিরিক্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে বিটিবির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

চায়ের জন্য উপযোগী পরিবেশ, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, সঠিক ও সুষম তাপমাত্রা এ গৌরবের নেপথ্য। এছাড়াও চা বাগানের জমির সম্প্রসারণ, পুরাতন বা বৃদ্ধ গাছ তুলে উচ্চ ফলনশীল জাতের চা গাছ প্রতিস্থাপন, আনুসাঙ্গিক সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ততা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রাপ্তি, ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্ধি ও সর্বোপরি বাংলাদেশ চা বোডের্র নজরদারির কারণে দেশে চা শিল্পে সাফল্য ফিরে এসেছে।

 
Electronic Paper