ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধ্বংসের পথে এক কাতার মসজিদ

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
🕐 ৬:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৫, ২০১৯

রংপুরের পীরগাছা সদরের চার কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়কের পাশেই চণ্ডিপুর গ্রাম। গ্রামটি ছিল ইংরেজ বিরোধী বিদ্রোহী পীর ফকির সন্ন্যাসীদের শক্তিশালী গোপন ঘাঁটি। আলাইকুমারী নদী থেকে দুটি সংযোগ খাল কেটে গোপন দূর্গ ভবনে সংযোগ দেওয়া হয়। এ সংযোগ খালে দেবী চৌধুরানীর নৌকার বহর রাখা হতো।

চণ্ডিপুরের গোপন দূর্গভবনে নবাব নুরউদ্দিন বাকের জং, ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী এবং শিবচন্দ্র রায় মাঝে মাঝে গোপন সভায় মিলিত হয়ে ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামের রণকৌশল নির্ধারণ করতেন। ওখানে একটি মসজিদ ছিল। যা এক কাতার মসজিদ বলে পরিচিত। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মসজিদটি।

নবাব নুরু উদ্দিন বাকের জং ও দেবী চৌধুরানীর গোপন দূর্গভবন থাকার কারণে চণ্ডিপুরের জঙ্গলাকীর্ণ এ স্থানটির নাম করা হয় পবিত্রকুটি বা পবিত্রঝাড়। চণ্ডিপুর, ফকিরটারী এবং কুটিপাড়া গ্রামে ছিল পীর, ফকির, সন্ন্যাসীদের বড় আস্তানা।

চণ্ডিপুর গ্রামের গোপন ঘাঁটিতে ১৭৮৩ সালের বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্রোহীদের গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে আচমকা আক্রমণ শুরু করে ইংরেজ বাহিনী। পীরগাছার মন্থনার জমিদার জয়দূর্গা দেবী (দেবী চৌধুরানী) ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এখানে নিহত হন।

তার সঙ্গে নিহত হন ইটাকুমারীর জমিদার শিবচন্দ্র রায় এবং দেবী চৌধুরানীর ছোট ভাই কেষ্ট কিশোর চৌধুরীসহ অসংখ্য ফকির সন্ন্যাসী।

 
Electronic Paper