ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইসলামের চতুর্থ পবিত্র শহর কোনটি?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৫, ২০১৯

প্রশ্নটি করেছেন মমতাজ বেগম, শেরপুর, বগুড়া থেকে

পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়ায় বর্ণিল ও প্রশান্তিময় এক শহর ‘হারার’। ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ শহরটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত ইথিওপিয়ার বুকে মুসলমানদের এক আপন বসতি। ‘প্রশান্তির শহর’ হিসেবে খ্যাত শহরটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আফ্রিকায় ইসলাম আগমনের ইতিহাস। ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শহরটিকে অনেকেই মক্কা, মদিনা ও জেরুজালেমের পর ইসলামের চতুর্থ পবিত্রতম শহর হিসেবে উল্লেখ করেন। মাত্র এক বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই শহরে ৮২টি মসজিদ ও ১০২টি মাজার আছে।

২০০৬ সালে শহরটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। আফ্রিকান ও ইসলামি সংস্কৃতির সমন্বয় শহরটিকে নিজস্ব এক অনন্যতা দান করেছে। বিশেষ করে, ইথিওপিয়ার অন্যান্য শহরের সঙ্গে এই শহরের সাংস্কৃতিক ভিন্নতা শহরটির বিভিন্ন স্থাপনার মাধ্যমে লক্ষ করা যায়।

সাধারণত বিচিত্র রঙে বর্ণিল করে এই শহরের বসতবাড়ি ও অন্য স্থাপনাসমূহ নির্মাণ করা হয়। বসতবাড়ির অভ্যন্তরে এই রঙের সাজ থাকে এবং বিভিন্ন প্রকার পাত্র, হাঁড়ি ও ঝুড়ি দিয়ে দেওয়ালগুলো সজ্জিত করা হয়।

মক্কায় কুরাইশ প্রভাবশালীদের অত্যাচারে রসুল (সা.)-এর নওমুসলিম সাহাবিরা যখন জর্জরিত, রসুল (সা.) তখন তাদের আফ্রিকার তৎকালীন হাবশা রাজ্যে হিজরতের পরামর্শ দেন। যাতে তারা অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে পারেন। ইতিহাসে আকসুম রাজ্য নামে পরিচিত রাজ্যটি আজকের ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া নিয়ে গঠিত ছিল। নাজ্জাসি উপাধির একজন ন্যায়বিচারক শাসক তখন রাজ্যটি পরিচালনা করতেন। ইসলামের ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম হিজরত।

 
Electronic Paper