ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৪, ২০১৯

বাংলাদেশ পিয়াজের জন্য ভারতের ওপর কতটা নির্ভরশীল এবং নিরুপায়, তা এবার বিশ্বমঞ্চে প্রকাশ পেল খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটের এক বক্তৃতায় তিনি এমনটা জানিয়েছেন। ভারত হঠাৎ পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দাম বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে। বেকায়দায় পড়ে এদেশের সাধারণ মানুষ। ফলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তার শেফদের বলে দিয়েছেন যেন রান্নায় পিয়াজ না দেয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সামনে যেন এরকম হঠাৎ কোনো কিছু তারা রপ্তানি বন্ধ না করে আগে ভাগে বাংলাদেশকে জানায়, যাতে আমরা বিকল্প প্রস্তুতি নিতে পারি।

ভারতীয় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মাঝে এই কথাগুলো যদিও শেখ হাসিনা কিছুটা হাসিচ্ছলে হিন্দিতে বলেছেন; কিন্তু এই মুহূর্তে তার এই বক্তব্যের প্রতিটি অক্ষর বাংলাদেশে নির্মম বাস্তবতা। যার কারণে আমার মনে হয় একরকম বাধ্য হয়েই কথাগুলো বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এখন সময় এসেছে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এদেশের কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি কর্মকর্তা সবাই নিশ্চয় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে এই বাস্তবতা। বাংলাদেশে বার্ষিক পিয়াজের চাহিদা খুব বেশি কিন্তু নয়- ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১৬ লাখ মেট্রিক টন তো এরই মধ্যে আমাদের দাদা-চাচারা উৎপাদন করছে। সামনে বিশেষভাবে কৃষি পরিকল্পনা করলে এবং উদ্যোগ নিলে নিশ্চয়ই বাকি আট লাখ টনও আমাদের দেশেই উৎপাদন হবে। ধান যেমন এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারছি। কয়েক বছরের মধ্যে পিয়াজও নিশ্চয় সম্ভব।

বৃহস্পতিবার যখন ইন্ডিয়া সামিটের প্রথম দিনের বক্তৃতায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প শোনাচ্ছিলেন তখন গর্বে আমাদের বুকটা ভরে উঠছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেছেন, ‘খদ্যে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ, ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজিতে চতুর্থ। কৃষিতে পরনির্ভরশীলতা আমাদের অনেক কমে আসছে। এখন কৃষি ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে শস্যমূল নিয়ে গবেষণা করছি। জিন রহস্য উন্মোচন করছি আমরা।’

এমনসব অর্জনের ইতিহাসের পাশে প্রতিবেশীদের কাছে সামান্য পিয়াজের জন্য হাত পাততে আর চাই না। এই মুহূর্তে ভারতের চেয়ে সামাজিক অনেক সূচকে ছোট্ট এই বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। সদ্য শেষ হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আপনি যখন বিশ্বনেতাদের রোহিঙ্গা সংকটের মতো আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের দিকনির্দেশনা বোঝান তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে ১১ কোটি টয়লেট বানানোর গল্প শোনান।

জাহিদুল বাশার
সাংবাদিক

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper