ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বুমেরাং

হাসান টুটুল
🕐 ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৯

গাড়াগঞ্জ থেকে শৈলকূপা যেতেই হাতের ডানপাশে যে বিশাল নার্সারিটা, ওখানেই আছি ফল-ফলারির চারা কিনতে। একটি অচেনা মোবাইল নম্বরের কলটা রিসিভ করতেই এক নারী কণ্ঠ জিজ্ঞাসা করল, আমি কি না, বলল, আমি শিপ্রা বলছি।

শিপ্রার সঙ্গে দেখা নেই যোগাযোগ নেই তা বছর সতের আঠোরো। এতদিন পর হলেও নামের সঙ্গে কণ্ঠস্বরটা শুনে শিপ্রাকে চিনতে আমাকে বেশি ভাবতে হয়নি। ভাবিয়েছিল শুধু, তার বাবা মায়ের অমতে বিয়ে করার জন্য পালাবার প্রস্তুতিকালে আমার নজরে আসে। শত বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনো মতেই ভয়ঙ্কর নেশাগ্রস্তের মতো প্রেমের উপাখ্যানে বোধ-শক্তি অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে পড়েছিল তোতনের হাত ধরে। বুঝিয়েছিলাম, বাবা মায়ের দীর্ঘদিনের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে, তাদের বিশ্বাস আদর স্নেহ পায়ে মাড়িয়ে তাদের অপদস্ত করে নিজের ইচ্ছেমতো বিয়ে করার মধ্যে কোনো সফলতা থাকলেও সার্থকতা নেই। বিশ্বাস করলে পারিবারিকভাবেই বিয়ের ব্যবস্থা করা যাবে। কথাটা রাখেনি শিপ্রা। সেদিন থেকেই আরও বেশ কিছু মানুষের মতো আমার সঙ্গেও সম্পর্কহীন হয়ে পড়ে।

- কি ব্যাপার এত্তদিন পর? তা নম্বর পেলে কোথায়? কিভাবে, কেমন আছ কোথায় আছ?

কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে চলেছে, নাক টেনে, ‘তোমার নম্বর পাওয়া কি খুব কঠিন কাজ, চারপাশে তোমার কত নাম-যশ-খ্যাতি, কে চেনে না তোমাকে এই ছোট্ট শহরে।’ থামল একটু। আবার শুরু করল ততক্ষণে কান্নার মাত্রা চরমে উঠে গেছে, ধরা গলায় আধো আধোভাবে বলে চলেছে,
‘তিতলি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এক বখাটের সঙ্গে। তুমি ওকে উদ্ধার করে দাওনা প্লিজ।’ হাউমাউ করে কেঁদে চলেছে শিপ্রা। আর কোনো কথা বলতে পারছে না, কান্নাগুলো তার সমস্ত কথাকে গিলে খেয়ে নিচ্ছে। বললাম, তিতলিটা কে? শিপ্রা বলে উঠল, ‘আমার মেয়ে।’

সদস্য, এগারজন
কুষ্টিয়া।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper