ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেসরকারি ব্যাংকের ভূমিকা

নতুন দিনের সূচনা হোক

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯

রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তুলনায় বেসরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ভূমিকা আরও বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হচ্ছে। কারণ শুধু রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক উন্নয়নের অংশীদার হওয়া সম্ভব নয়।

খোলা কাগজে প্রকাশ, ব্যাংক খাত মানেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম, নীতি ও নৈতিকতার মধ্যে থেকে আমানত সংগ্রহ করে বিনিয়োগ করে এবং তা থেকে মুনাফা করে। কিন্তু এর বাইরে রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কম মুনাফাতে ব্যাংককে কাজ করতে হয়। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কিছু নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক বিভিন্ন কাজ করলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলো এ থেকে দূরে থাকছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নামেমাত্র ফি নিয়ে, কোনো মুনাফা হয় না- এ ধরনের প্রায় ৫৩টি কাজ করে থাকে। এর মধ্যে পথশিশু, স্কুলগামী শিশু, পরিচ্ছন্ন কর্মী, কৃষকদের ভর্তুকি বিতরণ, পোশাক শ্রমিক, প্রতিবন্ধী, খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক মানুষসহ বিভিন্ন ধরনের প্রান্তিক মানুষের ১০, ৫০ এবং ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলা অন্যতম। এসব অ্যাকাউন্ট কম টাকায় খোলা হয় এবং প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে এ ব্যাংকিং।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এসব ব্যাংকিংয়ে মুনাফা না হওয়া ও পরবর্তীতে মুনাফা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকার কারণে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ ধরনের ব্যাংকিং করে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। কৃষকের ১০ টাকার মোট এক কোটি ৩৬ হাজার ৯০৭টি হিসাবের মধ্যে সবগুলোই করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত আট ব্যাংক।

কৃষকের হিসাববহির্ভূত ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৬১৪টি হিসাবও খুলেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক। কৃষিঋণ বিতরণে সুদহার কম ও পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আগ্রহ দেখায় না। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করেছে মোট ঋণের ২ ভাগ কৃষিঋণ বিতরণ করতে হবে।

এ কারণে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনেকটা বাধ্য হয়ে কৃষিঋণ বিতরণ করে। তারপরও বেসরকারি ব্যাংকগুলো এনজিওর মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করে। এজন্য কৃষককে ২২ থেকে ২৭ শতাংশ সুদ হার গুনতে হয়।

অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজ শাখার মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ নিয়ে থাকে। এ অবস্থায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আশা করব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের যৌথ ভূমিকার মাধ্যমেই আমাদের দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আরও এগিয়ে যাবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper